💘 প্রেয়সীর প্রেম 💘
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা, মোদের পল্লী গায়ে,
হঠাৎ আমি থমকে দাড়াই, অপরুপ এক মেয়ে।
স্বর্গ থেকে ধরায় যেন নেমে এল, সে অপ্সরী,
রুপে তাহার হার মানাবে জান্নাতের হুর, পরি।
রুপালি চাঁদের জোছনা ছড়ায়, দেখি চেয়ে দিনে,
রুপ লাবন্য, মিলেছে তাহার প্রকৃতির সবুজ বনে।


চন্দ্র তারার মাটিতে বিধি, গড়েছে তাকে বুঝি,
রাঙা ঠোটের লাল বাঁধনে, নিজেকে আমি খুজি।
পড়নে তার নীল শাড়ি, নীলাম্বরি এক মেয়ে,
লাজুক লাজুক পায়ে চলে, আদো ভয়ে ভয়ে।
আলতা আকা নুপুর পায়ে, চুলে ফিতা বেধে,
গায়ের মেঠো পথে হাটে, মেয়ে সাদা সিধে।


রেশমি চুড়ি হাতে, কাকনের শব্দ শুনা যায়,
কুচ বরণ দীঘল কেশ, জড়িয়ে আছে গায়।
রজনীগন্ধা ফুলের সুবাস, করছে ছড়াছড়ি,
বকুল তলায় ফুল ঝড়েছে, প্রভাতী সেই নারী।
হাসনা হেনার গন্ধে মাখা, তার মুখের বুলি,
হার মেনেছে রাখালিয়া, বাঁশির সুর ভুলি।


গাঁদাফুলে রঙ মেখেছে, সাথে জুঁই, চম্পাকলি,
ভালবাসার সাধ, জেগেছে মনে, প্রেয়সিকে বলি।
নয়নে তার অগ্নশিখা, জ্বালাইল বুকে অনল,
নিভাইবে কেমনে বল, আমার এই আখিজল।
অঙ্গেতে রুপ সোনার জ্যোতি, সোনা করে খেলা,
তুলসী তলায় জ্বলছে যেন, প্রদীপ সাঝের বেলা।


শিউলী তলায় মালা গেঁথে, লুকায় আঁচলে,
গোলাপ, বেলী, টগর, জবা, নানান রঙের ফুলে।
কি ছিলাম? কি হলাম আমি? কি রুপ হেরিয়া?
বুঝি নাই আমি, বুঝবে কি বিনোদিনী প্রিয়া?
জানে কি শ্রীমতি রাধে? মোহন বাঁশি হাতে শ্যামে,
নিরবে নিঃশব্দে পড়ে গেলাম প্রেয়সীর প্রেমে।