💀শেষ বিচার💀
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


মানুষের জন্য কুরআনে প্রভু, করেন ঘোষণা,
মাঠ সাজিয়ে করেবন বিচার দয়াল রাব্বানা।
বিচারক হয়ে আল্লাহ একা, বসবেন সিংহাসনে,
উকিল, মুক্তার, স্বাক্ষী কেহ, থাকবেনা তাঁর সনে।
আমলনামা সঙ্গে করে, দাড়াবে হাশরের দিনে
যা লিখেছে মানুষের, কেরামুন আর কাতেবিনে।
দুনিয়ায় পঠালাম বান্দা, কি করলে শিক্ষা?
হাশরের ময়দানে মালিক, নিবেন পরীক্ষা।


কুরআন ও হাদীসে, হাশর মাঠের করেন বর্ণনা,
উত্তপ্ত সূর্যের তাপ, মাথার উপর ছায়া থাকবেনা,
পায়ের নিচে গরম সিসার জমিন, মাটি হবেনা,
রহমতের সুশীতল, আরশের ছায়া করবে কামনা।
আল্লাহ রাসুলের বিধান, অনুসরন করল যে জনা,
হাউজে কাউসার পান করিবে বুখারীর ঘোষনা।
এমন কঠিন নিদানকালে, কেউ রেহাই পাইবেনা
মিযানে ফায়সালা হবে, জান্নাত জাহান্নাম ঠিকানা।


একমাত্র সুপারিশকারি, দ্বীনের নবী মোস্তফায়,
উম্মতি উম্মতি বলে কেদে কেদে বুক ভাসায়।
ইসলামের অনুসারী, কেউ যেন দোযখে না যায়,
নাজাতের জন্য তিনি, পড়ে থাকবেন সেজদায়।
শুরু হবে বিচার কার্য দেখবে ন্যয় অন্যায়,
তিল পরিমান কর্ম কান্ড হিসাবের খাতায়।
অঙ্গ পতঙ্গ যত তোমার স্বাক্ষী কাঠগড়ায়,
যার যার মত বলবে, কোন থাকবেনা উপায়।


নেকি বদির হিসাব বান্দার, নিবেন আল্লায়,
পাপ পূণ্য লিপিবদ্ধ, কি আছে আমলনামায়?
যৌবনকাল কিভাবে কাটল এসে দুনিয়ায়?
ধন সম্পদ উপার্জন ব্যয়, করলে কোন রাস্তায়?
হালাল হারাম বিধি নিষেধ ছিল  কি মানায়?
প্রশ্ন করবে কাহ্হার সেজে হাকিম মাওলায়।
বান্দা বলবে ইয়া নাফছি, করবে হায় হায়,
আহাজারি, যন্ত্রণায় হবে কাতর পিপাসায়।


হাত তোমার স্বাক্ষী দিবে হইয়া নিরুপায়,
মন্দ যত কাজ কর্ম ছিল আমাকে করায়,
কাঠগড়ায় স্বাক্ষী দিতে দাড়াবে দুই পায়,
জীবন কাটলে গমন করে আল্লাহর রাস্তায়,
বাদী হয়ে জবানবন্দি দিবে হাত পায়,
শক্তি পেয়ে, কি করেছিলে আসিয়া ধরায়?
চুক্ষ বলবে পরোয়ারকে লজ্জিত ভাষায়,
অশ্লীল যত কর্ম কান্ড আমাকে দেখায়।


মুখে ছিল তোমার ভাষা, আল্লাহ পাকের জবান,
সত্যবাদী, সদা হেফাজত থাকলে পাইবে সম্মান।
স্বাক্ষী দিবে পালন কর্তাকে, তোমার দুই কান,
দুনিয়াতে শুনেছিলে কি? নবী রাসুলের গান।
জ্বিহ্বা তোমার বলবে আমি করেছি সাবধান,
হারাম হালাল খাবার সময়, করে নাই ব্যবধান।
জীবন পরিচালনায়, যদি থাকে মাওলার বিধান,
অফুড়ন্ত সুখের জান্নাত, হবে তোমার বাসস্হান।


জীবন থাকতে কত করে বুঝাইয়া কইলাম,
বেঁচে থাকতে নিতে হবে সৃষ্টিকর্তার নাম।
কাম বাতাসের ডিগবাজিতে, রটাইলা বদনাম,
একবারও হইলানা রাজি, ডাকতে মধুর  নাম।
ষোল আনা মুলধন দিয়া পাঠাইল মহাজন,
চালান সকল হইছে দেনা, উপায় কি তখন?
শেষ বিচারের হাই কোর্টেতে হারিজা যখন,
উকিল, মুক্তার জামিন দিবে, কে আছে আপন?