কাল বৈশাখী
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


গগণ মাঝে মেঘ সাজে বজ্র বিদ্যুৎ ডাকে,
সর্বনাশা ঝড়, তুফান ভয়ার্ত কাল বৈশাখে।
বজ্রধ্বনি আকাশ কাঁপে ,বৃক্ষরাজি ডরে,
পল্লীবাসী কেমনে বল ,থাকে কুঁড়ে ঘরে।
কুটিরের ছাউনিতে ছন, বেড়া ডালা পালা,
বুক কাঁপে ভয়ে যদি উড়িয়ে নেয় চালা।
কারো আবার ভাঙ্গা টিনের পুরানো ঘর,
বৈশাখের বান দেখিলে কাঁপে যে অন্তর।
আকাশ বাতাস হুঙ্কারে করে উঠে গর্জন,
সাগর নদী জলোচ্ছাসে তীর ধরে ভাঙ্গন।


বৈশাখ মাসে গ্রাম বাংলার ভয়ঙ্কর পরিণতি,
আহাজারির আর্তনাদে ফাটবে জানি ছাতি।
বাঁশের পাল্লা গুন ধরেছে, জীর্ণ কুটির নড়বরে,
উড়ুক চালা, উড়ুক বেড়া, ঘরটা যেন না উড়ে।
গরীব দুঃখী মানুষগুলো কেবল শঙ্কায় পুড়ে,
আশ্রয়হীন বিপদগ্রস্থ ঘরটা যদি উড়ে ঝড়ে।
আম কাঁঠালের বাগানেতে শক্ত আঘাত হানে,
ধান কাউনের ফসলগুলো ভাসিয়ে নেয় বানে।
গোয়ল ঘরে অবলা পশু পায়না কোন সুখ,
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে কৃষকের ভাঙ্গে বুক।


রাক্ষসী, কাল নাগিনীর বিষাক্ত ছোঁবল,
বড় শক্ত রক্ষা পাওয়া বৈশাখীর কবল।
প্রকৃতিতে আঘাত হানে বজ্র হিংস্র থাবা,
পাহাড় পর্বত চুর্ণ বিচুর্ণ ভরে নালা ডুবা।
অশান্ত আবহাওয়া পাগলা লাগাম ছাড়া ,
সর্বস্তরের ধ্বংস হলি খেলায় সর্বহারা।
শনশন, গমগম, মাতাল বায়ুর শব্দধ্বনি,
বৈশাখীর ভয়ঙ্কর রুপ ত্রাসের আগমনি।
প্রলয়ে সর্বশান্ত তান্ডব লীলা ঘুর্ণিঝড়,
শান্ত কর হে প্রভু , কাল বৈশাখী ঝড়।