বিবর্ণ বাগিচা
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


সাজানো বাগিচায় ফোটে আনন্দের ফুল,
সুভাষিত সৌরভে মালীকে করে আকুল।
দিবা রাত্রি অক্লান্ত পরিশ্রমে যত্ন সাধনায়,
রক্ষণাবেক্ষণ পরিচর্যাতে বাগিচা রক্ষায়।
কচি কাঁচা পুষ্প মুঞ্জরী প্রস্ফোটিত কলি,
আদর সোহাগে বাঁচাতে আপন স্বার্থ ভুলি।
বিধাতার নির্মম পরিহাস বিনা অজুহাতে,
মালির বুক বিদীর্ণ করিল কাঁটার আঘাতে।


আবেগের সকল অনুভুতিগুলো হৃদয় নীড়ে,
বুকের গহীনে দিবানিশি বসি স্বর্গ রচনা করে।
বাকবাকুম ডাকে সুখের পায়রা নিত্য অন্তরে,
পেখম তোলে মন ময়ুরী নাচে সুরে ঝংকারে।
প্রস্ফুটিত পুষ্পে বুলবুলি কেবল দিচ্ছে দোল,
পল্লবী ঢাকা মঞ্জুরি শাখায় পাপিয়া আকুল।
ফুল কুমারী ঘোমটা মেলে লজ্জাতে তাকায়,
সুখ সরোবরে পদ্মলোচন গভীর জলে হারায়।


একটা ফুটিল গোলাপ কলি মনোমুগ্ধ ফুল,
দুষ্ট অলি গুনগুনিয়ে ঘুরে ভ্রমরেরা ব্যাকুল।
পবিত্র ফুলের পাঁপড়ি রক্ষায় চিন্তিত মালী,
ভালবেসে কুড়াতে তারে মাখে কলঙ্কের কালী।
সুভাষ হারিয়ে শুকনো মলিন পাঁপড়ি নিয়ে,
ফুলগুলো পাতাতে লুকিয়ে মালী থাকে চেয়ে।
নিস্ব মালী সাজাত পারেনা বুক ভাঙ্গে কান্নায়,
রঙ্গিন স্বপ্নগুলো বিষাদময় বিবর্ণ বাগিচায়।