স্বপ্নের আশাগুলো আজ বাঁধল মনে বাসা
তাইতো শক্ত করে বাঁধলাম মনে আশা
যাবই বান্দরবান মানবনা কোন বাঁধা।
কত কত আনন্দ আর কত উল্লাস
ভালই কাটছিল পথ চলার সময়
কিন্তু বাঁধা সাধল রাস্তার জ্যাম
পৌঁছালাম পনের ঘন্টার পথ বিশ ঘন্টায়।
ঘুম ঘুম চোখে
না দেখাকে দেখার আশায় দিলাম পাড়ি
নেইতো কিছু অবশেষে সঙ্গী হলো চান্দের গাড়ী।
হায়রে হায় ফুরাইনাতো পথ কোথাই নীলগিড়ি
জীবনতো যায় যায় জোরছে চলে চান্দের গাড়ী।
আঁকা বাকা পথ পাহাড়ের মাঝে
কখনো উচু কখনো নিচু বুকটা কাপে থর থর,
তবুতো হয়না শেষ নীলগিড়ির পথ।
কত স্বাধনার পরে
সবাই মিলে ঘুরলাম নীলগিড়ি তারপর নীলাচল
দেখতে ভালই লাগল পাহাড়ি পথ।
পরদিন সকালে সবাই বের হলাম
করব বাইজিদ বোস্তামীর মাজার জিয়ারত,
শয়তান ড্রাইভার সাত পাঁচ বুঝে নিয়ে গেল
ফয়েজ লেকের সিমানায়
সবার পকেটের স্বাস্থ্য ভাল নয়
তাইতো খাওয়া শেষে রওনা দিলাম শিতাকুন্ডের ঝর্ণা ধারায়
আনন্দ তখনি বড়লো
যখন নামতে হলো ৫৬০ ফুট নিচে পাহাড়ের তলদেশে।
পরিশেষে শুরু
হায়রে কষ্ট পাহাড়ের বুক চিরে উঠা মেইন রাস্তা ৫৬০ফুট উচু
কেউ উঠল লাঠি ধরে কেউতো বসে বসে
আবার কেউ উঠল হামাগুড়ি দিয়ে।
রেসতো কাটেই না, এখনো স্বপ্নের মত লাগে
তাইতো অবশেষে স্মৃতির পাতায় জায়গা করে নিল
বান্দরবান ট্যুর ২০১৬।