ভালোবাসার মায়ায় তোমায় জড়িয়েছিলাম
আশার আলোয় তোমায় জ্বলিয়েছিলাম
বড় নিষ্ঠুর নিয়তীতে তোমায় হরালাম
কি লাভ হলো জীবনের শেষ ইচ্ছায়তো ক্ষীণ হয়ে দাঁড়ালো।
বিগত দিনগুলোতে উই পোকা বাসা বাঁধলো
আর আমার শেষ ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম হলো।
তাতেই খুশি
তবু যে তোমার ঠিকানা সমাজের উচ্চ বৃত্তের শিড়ি
এও কি কম আনন্দের
আমার ছেলে আজ দেশের জনদরদী
যাবার সময় হলেই চলে যাব
মিশে কেন তোমার এত টেনশন
অন্তত বছরে দুইবার দেখতে আসো
খামাকাই সময় নষ্ট।
আমিতো ভালো আছি
কত বন্ধু আমার চারিপাশ
বাসায় বদ্ব ঘরে আর কতই করি বসবাস।
ওসব থাক তার চেয়ে বল
কেমন আছে আমার দাদুভাই
সোনামনি আমার লক্ষী বাপ আমার
মন ভারাপ করোনা
বউমা কেমন আছে।
নিজের মেয়ে নেইতো তাই একটু বেশিই মনে পরে
বৌমাকে তোমার মায়ের গহনায় বেশ মানিয়েছিল।
সে যে কি খুশি
সেদিনই বুঝেছিলাম কোন হাসিতে মুক্ত ঝরে
আহা রাগ করছোনাতো
কোন কথা কখন বলতে হয় সেও মনে থাকেনা
যাই হোক বউমাকে এসব আবার বলতে যেওনা
হয়তো হিতে বিপরীত হবে।
আমার কথা অত বেশী ভাববেনা
অংশিদারিত্ব কমে যাবে
আমি ভালো আছি বাবা বৃদ্ধাআশ্রমে।
পরের চিঠি খানা তোমার দুয়ারে পৌঁচবে কিনা
তাই আগেই জানিয়ে দিলাম
হয়তো তোমার জায়গার সংকোচনই হবে
তবুও অনুরোধ মায়ের পাশের ফাঁকা জায়গায় আমায় চির নিদ্রাস্থ করো।
আরো কত কথা লেখার ছিল পাড়লামনা
ভাগ্যই আমায় দুরে ঠেলে দিল।
গালমন্দ করে হলেও আর একবার দাদুভাইদের নিয়ে আমায় দেখে যেও।
আর দোয়া করি ভালো থেক
কারণ এই বৃদ্ধাশ্রমেই সুন্দর নিবাস
তোমার কারণেই মনিকান্ত আমায় দিয়েছিল।


উৎস্বর্গঃ বৃদ্ধাশ্রমের সকল বাবাকে।