মৃতের মত বেঁচে থেকে লাভ নেই জানি
তবু বেঁচে আছি মৃতের মত।
একটুখানি বেঁচে থাকার মতোন যে বাঁচা
সেইটুকুর জন্য দরকার যে প্রাণশক্তি
তা আমার হারিয়েছে সেই কবে!
আমিও একদা বাঁচার মত বাঁচতাম
আজ তা মনে করে হাসি পায়।
আজ তা কোন দু:গ্রহের স্বপ্ন মাত্র।
আমায় যদি বলো-
এ কেমন কথা!
আমি বলব এই ই কথা।
প্রতিনিয়ত ক্ষয়ে যাওয়া হৃদয়ের যে টিমটিম চলাচল-
ধীরে ধীরে কথা কই শ্বাস নেই ধীরে,
একটু দমকা হাওয়ায় যদি বন্ধ হয় সব সেই ভয়ে।
তবুও বলবে লোকে বেঁচে আছি।  
কেন মরে যাই প্রতি পলে
সেকথাও বলতে ভয়
পাছে লোকে কিছু কয়।
হায়! হায়! হায়!
এ কি কর্মের ফাঁদে পরেছি ধরা।  
জীবন রস সবটুকু শোষিবে মোর
বাকি কিছু নাহি রবে।  
তিলে তিলে দহে দহে প্রাণবায়ু যাবে।  
কার অভিশাপে পোড়ে মোর সুখ
কার অগ্নিদৃষ্টি ঝলসি ফেরে
এ সাধের জীবন যৌবন!
আমার চোখের ধারা ধুয়ে দেবে সব
আনিবে প্লাবন।
এক বুক সাইক্লোনে ভাসাবে ভুবন।  
যে করিল মোরে এই ঘরের বাহির
যার লাগি কাঁদি পথে পথে
চিৎকারিয়া তারে কিছু কহিতে না পারি।  
হা অদৃষ্ট!
বক্ষে ব্যথা লয়ে আমি তিলে তিলে মরি।
কে মোরে রাখিবে হায়
কে মোরে দানিবে শান্তি।
কার বুকে মাথা থুয়ে আজ আমি কাঁদি।  
শান্ত করো প্রভু মোরে
শান্ত করো তুমি।  
তব বিশাল বক্ষ ছাড়া শান্তি নাহি আজি।
এত অগ্নিলাভা লয়ে চলিতে না পারি।  
প্রাণ দাও বায়ু দাও দাও শান্তি সুখ
ঘুচাও কর্মের জাল না হও বিরূপ।