আকুন্ঠ বিশ্বাসে প্রতিটি নিশ্বাস
ব্যাকুলতায় আসবি ফিরে, গড়তে খেলাঘর।
বিশ্বাস! সে তো আলেয়া
আলো হয়ে আসবেনা কোনদিন।
প্রতিক্ষার প্রহর বড়ই নিশ্চল
বেদনাবিধুর, বুকে দীর্ঘশ্বাস।


হঠাৎ একদিন একখানা চিঠি
আমারই নামে, তোরই লেখা
প্রথম এবং শেষ চিঠি।


"কেমন আছিস? আমি?
ভুলতে পারবিনা ভেবে ভেবে, বেশ ভালো আছি।
আর সংসারে,
খাওয়া শেষে ছুঁড়ে ফেলা হাড়ে
কুকুরের লোলুপ দৃষ্টি
এক লাফে ঝাপটে ধরা
আঁচড়ে কামড়ে ক্ষত বিক্ষত
উল্লোসিত চিত্তে তুলে আবার
একই রূপে নানান ঢংএ আরোও কতবার
অস্হিমজ্জাটুকু ফুরায়ে তাহারে,
তবেই স্বস্তি পায় সে কুকুর।


আর হাড়, সে যেন দেহটি আমার,
ক্ষত বিক্ষত দেহ রক্তাক্ত করেও বারবার
নিস্তেজ নিঃসাড় দেহ নিয়ে মাতিত আবার।


মনে পরে কি আজও,
শেষ বিদায়ে শেষ কথাটি তোর?
বিদায়! সত্যিই তেমন হয়না, হতে পারেনা।"


চাপা কান্নায় ভাঙ্গে বুক, দু'চোখ ভরে জলে
দু'হাতে জল মুছিয়া আবার
পত্রখানি নিলেম হাতে তুলে।


(অসমাপ্ত)