মা! মা! দেখে যাও তাড়াতাড়ি এসে
আমাদের প্রদীপের আলো, বিশ্বাসঘাতকতা করছে সে
আলোকে তার আলোকিত পাশের বাড়ির আঙিনা
সেই আলোতে পথ চলা স্বাচ্ছন্দ্যে কোনো অস্বস্তি বিনা।


পাশের বাড়ি নিঃস্ব অতি, আবাস কুটির জীর্ণ
অসুবিধায় রাখতে তাদের দৃষ্টি সদা শেন্য
সে যে প্রকারেই হোক পবিত্র দায়িত্ব বলে গণ্য
পরোয়া করি না কেউ বলবে সংকীর্ণ।


জলদি গিয়ে বাতিটা দে নিভিয়ে
তাদের সীমানা হতে রাখ শতহস্ত সরিয়ে।
বাহ! এইতো বেশ বুঝবে কেমন মজা
পরের আলোতে পথ চলা এতই সোজা।


আহ! বাতি দাওনি কেন? আঁধারে খেয়েছি হোঁচট
পায়ে ব্যথা পেয়ে গিয়েছি পড়ে, কেটে গেছে ঠোঁট।


পাশের বাড়ি, আমাদের প্রদীপের দ্যুতিতে
আছে তারা ফুর্তিতে, পথ চলে নিশ্চিন্তে।


তাহলে তো ঠিক আছে
কারোও উপকার করবো না যেচে
তার উপর গরিব, দুর্বল ভিত
তার থেকে প্রতিদান পাবো না নিশ্চিত।
আলো লাগবে না আমাদের থাকবো আঁধারে
যদিও ব্যথা পেলাম, স্বাচ্ছন্দ্য পেতে দিবো না তাদেরে।


দেখতো কে এলো ফটকে? বিলম্ব না সয়
তাহলে তো এবার প্রদীপের আলো জ্বালাতেই হয়।
দাঁড়াও, দেখছি উপায়, আলো যাতে ও বাড়িতে না ঢোকে
আমাদের বাড়িটা দিবো পাতা দিয়ে ঢেকে।
এখন হয়েছে বেশ! যাচ্ছে না আলো ওধারে
আমাদের আলো রবে শুধু আমাদের ঘরে।


হেনকাল বাদে, নিভু নিভু হয়ে আসে প্রদীপের আলো
কী দুর্ভাগা মোরা! প্রদীপের তেল যে ফুরালো।


বাইরে বেরিয়ে দেখি, পাশের বাড়ির উঠোনে
উদ্ভাসিত তারা নিয়ন চন্দ্র কিরণে
দূরীভূত তাদের ছিলো যত কালো
স্বাভাবিকের চেয়ে আজ বেশি জমকালো।


আমাদের বাড়ি, কী নিকষ অন্ধকারে
ডুবে রয়েছে যেন কোনো বাড়ি ছমছম ভূতুড়ে
চাঁদের আলো আসবে, সে পথ করেছি রুদ্ধ
পরিণতি মেনে নিতে হতে হলো বাধ্য।