আমাদের জ্ঞান বড়ই সীমিত
মাঝে মাঝে অনুভবে হই বিস্মিত
সর্বশ্রেষ্ঠ যে জ্ঞানী তার তুলনায়
নগণ্য আমরা, সন্দেহ নেই তায়।
যদি তাহাদের জ্ঞান হয় কণা তুলনীয়
তবে আমাদের জ্ঞান সহজেই অনুমেয়।


এই জ্ঞান নিয়ে জ্ঞানী করতে প্রমাণ
জ্ঞানীর মুখোশ করি পরিধান
নিজে জ্ঞানী প্রকাশে চালাই প্রচারাভিযান
নিজের মূর্খতা ঢাকতে চেষ্টা আপ্রাণ।


মুখোশধারী আমি তাদেরই করি নির্বাচন
মূর্খ যারা আমারি মতন, অতি বিশ্বাস প্রবণ।
তাদেরই শিষ্য মানিয়ে করি জ্ঞান দান
বশীভূত সহজেই ধরে জ্ঞানীর ভান
পেতে বড় ভালো লাগে মূর্খের সম্মান
মূর্খের রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে আমার শান।


মূর্খের প্রশ্ন! সে তো মূর্খের মতো
উত্তর দিতে হতে হয় না বিচলিত।


জ্ঞানীর সংস্পর্শে আসতে চাই না ভয়ে
পাছে আমার মূর্খতা যায় প্রকাশ হয়ে
এড়িয়ে চলি তাদের তবু যদি হয় দেখা
উল্টো তাদের জ্ঞান দান করে, করি হেনস্থা
হেসে তাচ্ছিল্যে উড়িয়ে দেই যে কোনো কথা
তাকে সদা হেয় করায় আমার সার্থকতা।


কিন্তু অবাক! সে আমার সব কথাই শোনে
কথা মধ্যে কোনো বাধা নয় একনিষ্ঠ মনে।
নতমুখে করলো স্বীকার নিজের অজ্ঞানতা
স্বীকার করতে দেখালো না এতটুকু কৃপণতা
বিমোহিত হলাম দেখে তার শিষ্টতা
চেখে-মুখে আচরণে প্রকাশ জ্ঞানের গভীরতা।


তার সাথে কী তফাৎ, বুঝতে রইলো না বাকি
সত্যিই সে জ্ঞানী, আমি বুদ্ধির ঢেঁকি।