মরণ জানি না কবে কখন
জানারও বোধ করি না প্রয়োজন
যতদিনই তা রয়েছে দূরে
হয়তোবা মঙ্গল সকলের তরে।


কিন্তু যার স্বাদ করতেই হবে আস্বাদন
কেন তারে দূরে ঠেলে মিছে অকারণ
মৃত্যু দিবে যে মুক্তি
তার থেকে বড় কিছু হবে না প্রাপ্তি।


জন্মের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়
শিক্ষা যা দিবে অতুলনীয়।
অজানার পথে যাত্রা কেন মিছে ভয়
বরং অজানা যা ছিলো- কেটে, দূরীভূত সংশয়।
আমিও তখন সর্বদ্রষ্টা, যা ছিলো অদেখা
মৃত্যুর দ্বারাই উন্মোচিত যত অজানার শাখা-প্রশাখা।



মরণের চেয়ে বুড়ো অথর্ব জীবন
কাম্য কারো কাছে কারণ মৃত্যুভীতি ধরায় কাঁপন।
বুড়ো অথর্ব জীবন, সে বড়ই অভিশপ্ত
খোদার অভিপ্রায় রয়েছে এখানে গুপ্ত।


তারেই খোদা বুড়ো অথর্ব করে, করে অন্যের বশ
যার প্রতি তিনি কোনো কারণে হয়েছিলেন নাখোশ
কোনো কৃতকর্মের প্রতিফলে
বুড়ো অথর্ব জীবন লিখে তার কপালে।



প্রাণ বিয়োগের কঠিন কষ্ট হতে
পারবে না কেউ এড়িয়ে যেতে।
নিজেকে যে করলো হত্যা
মৃত্যু যন্ত্রণা হতে বাঁচার প্রচেষ্টা।


ভুগে সে অধিক তীব্রতায়
কারণ মৃত্যুকে ডেকে এনেছে স্বেচ্ছায়
কী কাকুতি-মিনতি, চোখে মুখে তার
কিন্তু ফেরার পথ নেই যে আর।



মৃত্যুর ধরন, রয়েছে বহু উদাহরণ
তীব্রতা একই যেটাকেই করি গ্রহণ।
খোদা যদি কখনো ঔদার্যে
বলেন, পছন্দ মতো মৃত্যুকে নাও বেছে
আনন্দের আতিশয্যে করতাম নিবেদন
বিষেই যেন নির্ধারিত হয় অধমের মরণ।