সেদিন গণ্ডুষে ধরতেই প্রহর কেটেছিল।
আজ কত শান্ত!
তোমার প্রতিবেদনহীন অপ্রকাশ্য ধর্ষণের খবর কেউ কি রাখে?
নদীর কান্না কে-ই বা শোনে বলো,কুশিয়ারা!
নির্ব্যাজ আকাশ-তারাদের দৃষ্টি আজ তোমার বুকে,
তোমার স্তব্ধতা কি আকাশ ছুঁয়েছে,কুশিয়ারা?
তোমার স্রোত যে আজ প্রতিলোমে বইছে,
বুকে আজ সজীব রক্তের মিছিল,
বালুচরে হৃদপিণ্ডগুলির হাহুতাশ,
প্রশ্বাসে ভিটে-মাটির সোঁদা গন্ধ,
প্রতিবাদের প্রতিস্বরকে টুঁটি চেপে ধরেছে স্বেচ্ছাচার।
পরদেশী রাজনীতির আকাশে আজ লালের জোষণ
প্রতিবিম্বিত হচ্ছে তোমারই বুকে-
তাই কি তুমি গুমরে মরছো,কুশিয়ারা?


ভাগ্যিস তোমার জাত-পাত-ধর্ম নেই।
জানো তো কুশিয়ারা,আমরা মানুষ।
না,মানে মানুষের মতো আর কি!
সম্প্রীতি আমাদের মঞ্চে-সভায়-মাইকেই।


"হিন্দু না ওরা মুসলিম্?ওই জিঞ্জাসে কোন্ জন?
কাণ্ডারী!বল ডুবিছে মানুষ,সন্তান মোর মার।"
কবি তোমার অগ্নিবীণায় আজ এ সুর বড়ো অচল।
আজ যে রক্ত চেখে দেখতে হয়!
ছাত্র-শিক্ষক-অধ্যাপক,পীর-ফকির-বাউল,
মা-মাদার-সিস্টার কারো রক্ষে নেই।


"সবার উপরে মানুষ সত্য" যে আজ মিথ্যার জোয়ারে ভেসেছে।
আজ রক্ত দিয়েই ফ্যাকাশে মানচিত্র নতুন করে আঁকা হয়,
রক্তের তুলিতে টানা হয় স্বদেশের সীমারেখা।