।উৎসব।


মূর্তির ফূর্তিরা অবশেষে সাঙ্গ,
শান্তির বড় চড়া দাম গো।
শহরটা চলছিলো খুঁড়িয়ে,
কিছুদিন নিক জ্বালা জুড়িয়ে।


ভবানী বিদায় হলে  লক্ষ্মী
তাই নেওয়া ভাসানের ঝক্কি।
না হলে ফূর্তিও চলতো
দেওয়ালি অবধি আলো জ্বলতো।


সারি দেওয়া প্রতিমার মিছিলে,
সংস্কৃতি, তুমিও কি গেছিলে?
এ শহর চারদিন ভেসে গেছে মদ্যে
মুখ্যত মাতলামি উৎসব ছদ্মে।


যারা বলে পুজো মানে কাশফুল,
রসিকেরা জানে দেয় খাস গুল
পুজো নয় খাওয়া দাওয়া নাচ গান
পুজো মানে ‘ চল গুরু, মদ আন!’


কবে থেকে হয়ে গেছে এরকম,
ইতিহাস জানাবে তা, আশা কম।
নেই কাজে খই ভাজা মন্দায়
সৃজন বদলে গেছে বন্ধ্যায়।


কুমীর এসেছে চিনে খালটাই,
উৎসবে সবে মিলে মাল খাই।
চারদিন বেড়ে হোক পনেরো
আপত্তি নেই একজনেরও।


জারি আছে অলিখিত ফরমান,
দোকান রয়েছে খোলা, জোর খান।
জনগণ সোৎসাহে রোজ যায়,
ভিড় দেখে মন্ডপও লজ্জায়।


আপাতত উৎসব শান্ত
( হয়তো বা মদ খেয়ে ক্লান্ত)
খালি গ্লাসে কাঁদো নাকি,বাঙালী?
ভয় নেই, কদিনেই দেওয়ালি!


সংস্কৃতি? ভাই তুই হাসালি...


আর্যতীর্থ