। সুইসাইডাল।


বিশ্বাস করো, রোজ চেষ্টা করছি আত্মহত্যার নানা উপায়ে,
বিনা হেলমেটে  বাইকে স্কুটারে টহল দিচ্ছি রাস্তায়,
অটোতে সামনের সিটে বসে যাচ্ছি পঞ্চম যাত্রী হয়ে,
সত্যি বলছি, প্রাণপণ চেষ্টা করছি জীবন দিতে নানা বাহানায়।
চলতি গাড়িকে হাত দেখিয়ে হচ্ছি রাস্তা পারাপার,
লাল লাইটকে কাঁচকলা দেখিয়ে নিজস্ব আইনে চালাচ্ছি গাড়ি,
নেশা করে অ্যাক্সিলারেটর চাপলে মারুতি হয় রেসিং কার,
কোথাও পৌঁছাতে চাই না, তবু বেল্ট হেলমেটহীন গতির বাড়াবাড়ি।
ইদানিং সুরাও ভারী সহজলভ্য, প্রায় প্রত্যেক পাড়ার মোড়ে,
অবরে সবরে পিকনিকে নয়, দৈনিক যাতায়াত তার মধ্যবিত্ত গৃহে,
আমিও দিব্যি তাই লাইনে দাঁড়াই রোজ, বিষ খাই ভারী যত্ন করে,
তিলে তিলে মরবার, এর চেয়ে ভালো আর উপায় জানা আছে কি হে?
অসুখবিসুখে আছে চিরচেনা পাড়াতুতো ওষুধ বিপণি
অহরহ রেস্তোঁরা আসাযাওয়া,পাড়ার চাইনিজ থেকে মলের মেক্সিকান,
ডাক্তারে টেস্ট দিলে সেটা রীতিমতো অপরাধ বলে গণি,
বোকা কিছু লোকজন ওসব ওষুধপাতি দৈনিক নিয়মিত খান।
আমি তো খাই না মোটে, বলেছি না সুইসাইড করবার তাড়া,
হেডফোন  কানে গুঁজে সগর্বে হেঁটে যাই রেললাইন ধরে,
সকাল সন্ধে রাত জানি না কি মন্তরে তবু কেটে যায় জীবনের ফাঁড়া,
একদিন দেখো ঠিক চেষ্টা সফল হবে, হুট করে যাবো আমি মরে।


আর্যতীর্থ