। সত্যি ছবি, ভুল গল্প।


আজকাল, ভাইরাল হয়ে যায় সত্যি ছবির সাথে মনগড়া গল্পরা বড় অনায়াসে।
ব্যাঁকাতেড়া বাক্যরা মুঠোফোনে উড়ে উড়ে আসে,
গল্পকে খনার বচন ভেবে শুরু হয় তাত্ত্বিক আলোচনা যত, অধুনা সমাজ জুড়ে মনে ও মননে চাঁদের জমির মতো ক্ষত, তাই নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে নেটনাগরিক।
অথচ দেখে  না কেউ গল্পের মূল নেড়েচেড়ে,
যাকে ভিত করে জল গড়িয়ে গড়িয়ে গেলো চলে এতদূরে,
সেটা ছিলো আন্দাজে ঢিল ছোঁড়া ধারণা নেহাতই,
গল্পের গরুগুলো মগডালে চড়ে যায় নেটে রাতারাতি। আমরাও যোগ দিয়ে নিয়মিত কেটে যাই গুজব জাবর,
মুখে মুখে মিছেকথা পাল্টিয়ে গিয়ে হয় জবর খবর।
যে সত্যটা জানে, মাঝে মাঝে তার ক্ষীণ স্বর শোনা যায় প্রতিবাদে।
সে বলতে চায়, সদ্যজাত শিশুটির অস্ত্রোপচারের
বিভ্রাট ভেবে যারা কাঁদে,
ভালো আছে সে, বস্তুত খবরটা বড় একপেশে,
ওরকমই তিন চারবার সার্জারি দরকারি এরকম বিরল অসুখে। তক্ষুণি তাল ঠুকে তার মুখ চেপে দেবে ভ্রান্তিবিলাসী যত মিথ্যাপ্রহরী,
যে আগে পোস্ট করে গল্প বানিয়ে নিয়ে, জনগণ তাকে ভাবে সত্যপূজারী।
কেউ কেউ বলে অস্ফুটে, শ্মশানে নিজস্বী ওটা ছিলো না হে মোটে,
শেষদেখা ছিলো সেটা প্রবাসী দাদার, ভাইরাল হয়ে মেয়ের অকুলপাথার।
সে কথা শুনবে নাকি কেউ, সেই প্রশ্নটা আজ হীরকের চেয়ে দামী।
অথচ দেখেছো তুমি,সেলফির পাগলামি বলে করা ফরওয়ার্ড করার আগে
একচুলও কেউ ভাবেনি মোবাইলক্যামেরা উল্টো ঘোরানো আছে!
ফরওয়ার্ড জরুরী আজ আমাদের কাছে, সত্য কি ঘটেছিলো সেটা জানবার নেই প্রয়োজন,
লাইক আর কমেন্টে মিথ্যা সত্যি সেজে জ্বলছে এখন।


আর্যতীর্থ