। সত্যেন্দ্র , শুনছো?।


সত্যেন্দ্র, কি খারাপ কপাল করে জন্মেছো হে!
সত্য কেন্দ্রে থাকা আর কেন্দ্রে সত্য থাকা যে একবস্তু নয়,
আশা করি এতদিনে পেয়ে গেছো তার পরিচয়।
অবশ্য পাবে আর কি করে, শহীদ হয়েছো কবে সেই বিদ্রোহে!


শহীদ? কথাটার মানে কি? বিশ্বাসের জন্য প্রাণ দেয় যারা ?
সেখানে তো লড়াই থাকে সত্যেন্দ্র, তুমি তো শিকার হয়েছিলে।
এক নিরীহ পাখিকে যেমন ব্যাধেরা মারে দলবল মিলে।
এখনও গোপন আছে , তোমার চিঠিটা ফাঁস করেছিলো কারা।


বড় বোকা তুমি , সত্যেন্দ্র, জাবাল সত্যকামের  যুগ আর নেই।
এখানে মিথ্যা বারবার চিৎকার করে নিজেকে সত্যি বলে প্রতিষ্ঠা করে,
আর কি আশ্চর্য দেখো, সব জেনেশুনে আমরা ই ভি এম ভরি নিষ্ঠা ভরে,
বোঝা উচিৎ ছিলো তোমার, মাথা তোলবার মতো এখন আর ঋজু ঘাড় নেই।


আমরা মিথ্যেকে নিয়ে দিব্যি আছি ,সত্যেন্দ্র। খাচ্ছি , দাচ্ছি , কলকলাচ্ছি,
আমরা ধরেই নিয়েছি যে চুরি করার সে করবেই, প্রতিবাদে প্রাণটাই যাবে।
আমি, আমার পাশের বাড়ি, ওপাড়ার হরিদাস পাল, সকলেই এমনটি ভাবে।
জীবন থেকে সত্য ও শিরদাঁড়া বাদ দিয়ে এই দেখো সত্যেন্দ্র , কেমন ভালোভাবে বাঁচছি!


তোমায় নিয়ে লেখা প্রথম কবিতাটা পাত্তা পায়নি তেমন, জানো।
আবার হতেও পারে, বেশি রকম পাত্তা পেয়েছে বলে হুজুরেরা করেছেন নিষিদ্ধ।
এ আমার সম্মান সত্যেন্দ্র, এর মানে শর তার নিশানায় হয়েছে বিদ্ধ।
ওই নিষেধটা যে আশার সংকেত, মিথ্যেকে হয়তো এখনো যাবে আটকানো।


ওহে সত্যেন্দ্র, চলতি হাওয়ার বিপরীতে তোমার পথেই শুরু করলাম দৌড়ানো..


আর্যতীর্থ