। রোগের ওষুধ।


সাম্প্রদায়িকতার ওষুধ কি ধর্মনিরপেক্ষতা?
সেটা একটু পালানো হলো না কি?
ধরি মাছ না ছুঁই পানির আদিখ্যেতা,
নিজের কাছে নিজের দেওয়া ফাঁকি।
তুমি যতই চেঁচাও নিরপেক্ষ বলে বাবা,
জন্ম ইস্তক যে ধর্ম নিয়েছে তোমার পিছু
সুযোগ পেলে মৌলবাদী মারবে তাতেই থাবা,
মানা না মানায় তাদের যায় আসেনা কিছু।
তাহলে কি প্রতিসাম্প্রদায়িকতাই ঠিক পথ?
দাঁতের বদলে দাঁত, খুনের বদলা খুন...
ডিনামাইটের ফিউজ উড়াক প্রতি বিরুদ্ধমত,
বুক কেঁপে যাক কানে এলে আজান বা রামধুন..
কিন্তু ইতিহাস যে অন্যকথা বলে সুজন,
বারবার এসেছে সেটাই উঠে নানান খবরে
পাড়াগুলি ঘেটো যদি হয় অকারণ,
বেড়ে যায় ভিড় শুধু শ্মশান কবরে।
তাহলে মার্ক্স অনুসারী হয়ে যদি হই ধর্মহীন ?
বাঁশ না থাকলে বাঁশরিও বাজবেনা তবে...
বাস্তবে কোনো দেশে আসেনি এমন অহিংস দিন
সম্প্রদায়গুলোর শুধু নাম বদল হবে।
তাহলে সাম্প্রদায়িকতাকে আটকাবো কি করে?
এই সামূহিক সর্বনাশী ব্যাধিটিকা কোন তত্ত্বে লেখা?
উত্তর পেয়ে যাবে, ডুবে দেখো বুকের ভেতরে,
ধর্ম বর্ণ জাত জলাঞ্জলি দিয়ে ,
মানুষকে মানুষ বলে ভাবতে শেখা।


আর্যতীর্থ