। ফাঁকা দুপুর।


একদুপুরের হঠাৎ পাওয়া ফাঁকে,  লাফিয়ে পেরোই রুটিন চোরাবালি,
কোন জাদুতে ফস্কা হলো বস্তাপচা কাজের গেরোগুলি,
ওসব আমি দেবো না ব্যখ্যানা; কিছু ব্যাপার উহ্য রাখাই ভালো, খুলে বললে সমস্যা হয় নানা।
যাক গে ছাড়ো,  বরং চলো  আসল গল্পে হাঁটি
মাঝহপ্তায় আচমকা একদিন, দুপুর পেলাম নিটোল, পরিপাটি।
আমি নেহাত কেঠো কাজের লোক, সংসার আর অফিসযাপন করি,
সময় দিয়ে রোজের রান্না রাঁধি, কোথাও ঘন্ট কোথাও বা চচ্চড়ি,
বেমক্কা  এক নিজের দুপুর পেয়ে, কেমন যেন খেলাম ভ্যাবাচ্যাকা,
অনেকদিনই অভ্যেসে যে নেই প্ল্যান করা স্রেফ নিজের জন্য একা!
কি করবো যে  দুপুরটাকে নিয়ে, সময়টাকে সাপটে খেতে চাই,
সকাল কিংবা সন্ধে হলে নাহয়, ঘন্টা মিনিট পেতাম অনেকটাই।
মেরেকেটে হাতে আছে ঘন্টা আড়াই মোটে, তার ওপরে ফাঁকা সময় ঘোড়ার মতো ছোটে,
সবাই সেটা জানে; এসব সময় প্ল্যান করবার মানে নেহাত  ঠকে যাওয়া,
কাজে কাজেই ধা করে হই হাওয়া, বিনা প্ল্যানের নিখাদ সে পাগলামি,
একটা দুপুর বিনিপয়সায় পেয়ে, চেনা পাড়ায় হারিয়ে গেলাম আমি।
সে সব কথা সবিস্তারে  বলতে পারি বটে, কোথায় কেমন দিয়েছিলাম হানা,
তবু সেসব উহ্য রাখাই ভালো, খুলে বললে সমস্যা হয় নানা।


আর্যতীর্থ