। কফিহাউস।


সেই সাতজন থাকতো যদি কফিহাউসের আড্ডাতে
থাকতো এখন ঠিক খবরে পড়তো না কেউ গাড্ডাতে
প্যারিস থেকে নিখিলেশের এক্সহিবিসন আসতো দেশে
মান্না এবং অমল সেটা দেখতে যেত কাজের শেষে
আসছে কবে তারিখটা সে জানিয়ে দিত ফেসবুকেতে
হয়তো তখন যেত তারা CCD তে কফি খেতে
সুজাতাটাও হাজির হত বরের সঙ্গে মার্সিডিসে
বুটিক থেকে সদ্যকেনা সব্যসাচীর design pieceএ
আর্ট বোঝাটা অদরকারী কিনত ছবি নিয়ম করে
নিখিলেশের দুটো ছবি ঠাঁই পেত তার বসার ঘরে
মইদুল তার ব্লগেতে রোজ লিখত খবর ঢাকার থেকে
মৌলবাদী চোখ রাঙাতো মুক্তমনের বিচার দেখে
প্রদর্শনীর খবর পেয়ে আসতো সেও কলকাতাতে
বন্ধুগুলো একসাথে সব সাউথ সিটির মল মাতাতে
অমলটারও পদ্যগুলো নিজের ব্লগেই ছাপা হত
বিশ্বজুড়ে রসিক পাঠক তার কবিতায় মন রাঙাতো
ক্যানসার তার কেমো পেয়ে পালিয়ে গেছে শরীর থেকে
নতুন কোনো পদ্য শোনায় আবার বসা কফির ঠেকে
রমা রায়ের পাগলামিটা ওষুধ খেয়ে এখন ভালো
চাকরি ছেড়ে করেছে সে একটা নতুন নাটকদলও
নিখিলেশের আসার খবর মোবাইল কৃপায় আগেই জানা
আড্ডা দিতে আসত সেও মহড়াটায় সেদিন মানা
ছজন মিলে কফি নিয়ে বসতো যখন একটা কোনে
ডিসুজাটার গিটারখানা স্মৃতি হয়ে  বাজতো মনে
নির্বাক সেই বাঙ্ময় বুক স্মৃতির থেকে আনতো তুলে
ভুলে যাওয়া কবরখানি পড়ত ঢাকা গোলাপফুলে।
..........................................................................
সেই সাতজন এখনো বন্ধু আছে
দিব্যি রয়েছে দেখো মিলটা
সময়ের সাথে সাথে আড্ডাটা বদলায়
পাল্টে গিয়েছে টেবিলটা
কফিহাউসের থেকে আড্ডাটা সরে গেছে
এখন রয়েছে নেটদুনিয়ায়
পুরোনো সে ফুলগাছে ফুটছে নতুন কুঁড়ি
মালির ঠিকানা শুধু পাল্টায়...
আর্যতীর্থ