। দ্বিধা।


আজকে তোমায় গল্প বলি কঙ্কাবতীর।
উঁহু,  উঁহু, লাভ হবেনা খুঁজলে ও নাম মুঠোফোনের নামসারিতে
অমন নামের কারো সাথে আজও আলাপ হয়নি কবির
ইচ্ছে হলো নায়িকাকে হঠাৎ করে নামটা দিতে।
কঙ্কাকে তো তুমিও চেনো, তোমার পাড়ায়,  তোমার ঘরে,
আর পাঁচটা মেয়ের মতই, তফাৎ শুধু স্বপ্ন দেখায়
জানোই তো এই কঠিন যুগে স্বপ্ন ওড়ে ঘুর্ণিঝড়ে
তবু মনের ক্যানভাসে সে স্বপ্নখড়ির দাগ টেনে যায়।
স্বপ্নটা কি? সেটাই আজব, এমন স্বপ্ন দেখার মানুষ বড় মেলেনা
ইচ্ছেটা তার গোটা জীবন সৎ হবে সে নিজের কাছে
ও মেয়ে! স্বপ্ন দেখার আর কিছু কি খুঁজে পেলে না?
বিষকালো এই দিনগুলোতে এমন স্বপ্ন দেখতে আছে!
পাড়ার এক উঠতি নেতা, বাঘ গরুতে একই ঘাটে জল খেয়ে যায় যার দাপটে
ভোটের সময় এসেছিলো মৃদু হাসির হুমকি দিতে
একটু যদি বুদ্ধি কিছু কঙ্কাবতীর থাকতো ঘটে
শুনিয়ে দিলো ভোট দেবে ঠিক জোরজুলুমের হিসেব নিতে।
এমন আরও গল্প কত, বলতে গেলে ছোট্ট শোনায় মহাভারত,
মোটের ওপর, পরিস্থিতি প্রতিকুলেও স্বপ্নটা তার যায়নি থেমে
খুঁজে নিয়ে চিলতে আকাশ উড়িয়ে দিতো মন পারাবত
সমস্যাটা হলো যখন দ্বিতীয় বার পড়লো প্রেমে।
বয়েসকালের নিয়ম মেনে প্রথম প্রেমে কিশোরবেলায়
শরীর ও মন দুইই হয়েছে ওতপ্রোত আদানপ্রদান
প্রেমিকটি তার দুনৌকাতে মেতেছিলো প্রেমের খেলায়
কঙ্কাবতী ধরে ফেলে,স্বভাবতই দরজা সটান।
তার জীবনে দ্বিতীয় পুরুষ আসবে সেটা ভাবেই নি সে
তবু এলো,  যৌবনে তো প্রেম আসাটাই সহজাত
বলবে কি আর অতীত খুলে, জ্বলছে টানাপোড়েন বিষে
পোড়ার দেশের পুরুষ তো চায় তার নারী হোক অনাঘ্রাত।
পাঠক আমার গল্পটা শেষ, কঙ্কাবতীর এই দ্বিধাতে
সত্যগোপন করবে কি সে নাকি বলবে সবটা খুলে
ঠিক করে দাও পাঠক সেটা, বিচার দিলাম তোমার হাতে
সবসময়ে জীবনটা কি ভাগ করা যায় ঠিক আর ভুলে?


আর্যতীর্থ