। পঞ্চভূত।


একেবারে নিভে যাবার আগে অন্তত একবার,
জ্বলে উঠতে চাই। প্রদীপের শিখার মতো টিমটিম করে নয়,
ঘুমভাঙা আগুনপাহাড় হয়ে, সহ্য যা করেছি ও করছি অনুগত দায়বদ্ধতায়, অসহ্য ক্রোধে যেন তাকেই পোড়াই।


ভরাট হবার আগে একবার সবটুকু জল নিয়ে বিদ্রোহী হবো।
সক্ষম সুনামি হয়ে একবার ভাসিয়ে দেবো যত আবর্জনা আমায় ঢেকেছে। জঞ্জাল সর্দারেরা ডাম্পার আবার উপুর করার আগে চমকে দেখুক, একটা পুকুর তার মজা জল বুকে নিয়ে ঘুরে তাকিয়েছে।


নিঃশ্বাস ক্রমশ আরো অগভীর, দমবন্ধ হয়ে আসার ঠিক আগে যেমন হয়। ভয় দেখিয়ে কন্ঠরোধ করতে চাইছে যারা এইসময়, তাদের হাতেই ভাতের গ্রাসের তুরুপের তাস। গলা পুরো বুজে যাবার আগে, একবার বজ্রের গর্জনে ফুসফুস খালি করে ছুঁড়ে দিয়ে যেতে চাই বিরোধী বাতাস।


আমার শিকড় ধরে টান মারছে ওরা, মাটির মালিকানায় সন্দেহ পুঁতে দিচ্ছে। উর্বরতা হারাবার আগে, প্রাণপণ চেষ্টায় চেতনার বীজ ছড়িয়ে দিতে চাই শিমুলের মতো, ক্ষতবিক্ষত আমার হেরে যাওয়া ভিটের থেকে দূরে, অনুকুল বাতাসে ভেসে মাটি পেয়ে ফের কিছু চারাগাছ ভুঁইফোঁড় হোক অন্তত।


আকাশের সবকটা তারা নিভিয়ে দিয়ে ওরা হাত বাড়াচ্ছে চাঁদসূর্যের দিকে। আলোখাকি সর্বনাশদের উপেক্ষা করে বেঁচে থাকা পরমাণুগুলোর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সুপারনোভা হবো,
আপোষী এ নতজানু সময় পেরিয়ে, জীবনে একবার পেটপুরে অন্ধকার খাবো।


মৃত এ জীবন থেকে একবার বেঁচে নিয়ে, পাঁচভূতে নিজেকে ছড়াবো...


আর্যতীর্থ