। নয়ের ঘর।


ভবিষ্যতের চাবিকাঠি সবই এখন নাম্বারে,
নয়ের ঘরে যত যাবে ততই নাকি দাম বাড়ে।
নম্বরীরা লম্ফ দিয়ে শীর্ষে ওঠেন কয় লাফে
পাড়ায় পাড়ায় ডংকা বাজে নাইন্টিদের ছয়লাপে।


আমার দিনে ভালো রেজাল্ট বলতো বটে স্টার পেলে
জানতো সবাই অমুক বিষয় লেটার পেলো কার ছেলে
এখন নাকি নব্বইতেও মা বাবারা কাঁধ নাচায়
একশো থেকে কতটা কম ভেবে সবার কান্না পায়  


কি করে আজ ছেলেমেয়েরা নয়ের ঘরে নয় যারা?
কলেজগুলো ঝাঁপ ফেলে দেয় , ভর্তি কোথায় হয় তারা?
ওপরদিকে যাওয়ার বুঝি নব্বইতেই শেষ সোপান?
তাই যদি হয়, হে শিক্ষাবিদ, আঁধারঘরে মুখ লুকান।


নয়ের চূড়ায় উঠলো যারা হীরের টুকরো একেকজন,
তাদের হাতেই এগোবে দেশ, ভাবীকালের যখের ধন
তাই বলে কি ভেসে যাবে সত্তর ষাট পঞ্চাশীরা?
দেশটা যদি না বানালে, করবেটা কি একলা হীরা?


অনেক ফুলের উঠতে ফুটে একটু বেশি সময় লাগে
মার্কসসিটের মস্ত কাঁচি দিচ্ছে ছেঁটে আগেভাগে
নয়ের ঘরের পাগলামিতে হচ্ছে কোথাও বিরাট ভুল,
কারখানা নয়, বাগান বানাও, ফুটুক দেশের সব মুকুল।


আর্যতীর্থ