। নিজস্ব ঈশ্বর।


কিছু সময় , হাতের কাছে একজন ঈশ্বর থাকা ভালো।
উপদেষ্টা হিসেবে মাথার ওপরে থাকে আলগোছে গোঁজা
বোঝা মুশকিল হলে কোথাকার জল গিয়ে কোথায় গড়ালো,
দায়ভার দিয়ে দিতে সোজা হবে তবে কোন দৈবকে খোঁজা।
যে কাজ করতে গিয়ে মানুষী নিষেধ কিছু এসে যায় মনে,
বুদ্ধিমানের দল নানা নাম জোড়ে তাতে ওপরওয়ালার,
একবার বুঝে গেলে কর্মটি করা যাবে ধর্ম কারণে,
শিশু খুন ধর্ষণও কবন্ধ বিশ্বাসে হতে পারে সহজ ব্যাপার।


কিছু সময়, ঈশ্বর তোলা থাকেন পরিবর্ত সমাধান হিসেবে
প্রকল্প গোলযোগে বিকল্পে রেখে দেওয়া কোনো অজুহাত,
অনিশ্চিতের যত গোলমেলে গর্তকে ঝট করে সামলিয়ে নেবে,
জীবনবীমার মতো কিছু ফিরে পাওয়া যাবে যদি হয় মন্দ বরাত।
আধুনিক ঈশ্বর , যাই বলো তাই বলো ভারী ঘুষখোর,
যে যত মানত করে শুনেছি তো তার প্রার্থনা যায় তত কাছাকাছি,
প্রতিমার দর্শনে লাইন পেরিয়ে ঢোকে পয়সা বা ক্ষমতার জোর,
ভোগবাদী দুনিয়াতে পয়সার সাথে রোজ ভগবান খেলে কানামাছি।


কিছু সময়, ঈশ্বর ঋজু হয়ে থাকেন পড়ন্ত সংসারের খুঁটি হয়ে
সবকিছু ভেঙেচুরে গেলে, তবু কেউ ঘরে ফেরে যার বিশ্বাসে,
ঠকে যাওয়া যে মানুষ ব্যর্থতা বেনোজলে গেছে প্রায় বয়ে
আঁধারবাঁধন কেটে সে আবার তাঁকে ধরে তীরে ফিরে আসে।
একমুঠো ভরসাকে সাথে দিয়ে রাখা যেন বেসামাল পথে
খবর না পেলে তবু অন্তত কাউকে তো বলা যাবে দেখো,
ছাপোষার ঈশ্বর এইভাবে জোড়াতালি দিয়ে যান কোনোমতে
বোঝা মুশকিল বড় মানুষ না ভগবান কে কাকে বলছে মনে রেখো।


যার যেমন খুশী, তেমন করেই সবাই নিজস্ব ঈশ্বর গড়ে নিচ্ছে,
জিগেস করলে তবু দুই হাত তুলে বলে,সব নাকি তাঁর ইচ্ছে।


আর্যতীর্থ