। নয়া সংবিধান।


উৎসব, তোমার শেকল থেকে আমাদের ঠাকুরকে ছুটি দেবে কবে?
কিছু স্থির কথা গানে স্তুতি বেঁধে নিয়ে, উঁচু যেই বেদীখানা দিয়েছো বাঁধিয়ে,
সেখানে অর্ঘ্য দেন হোমড়া চোমড়া যত অমুক তমুক,
হে সময়, মানুষের দোরে ফের প্রাণের মানুষ এসে কবে ধরা দেবে?


পড়েছে পুজোর যুগ, হুজুরেরা হুজুগকে মেনে মোড়ে মোড়ে গান আর মূর্তি গোঁজেন।
কবিয়াল পরে নেন কবিগুরু তকমা, চোখে এঁটে ভগবান বানাবার চশমা,
বন্দী করেছি তাঁর ভাবনাকে বৈশাখ পঁচিশ লেখা সোনার খাঁচায়,
আগে পিছে দিনগুলো সত্যের ঘা দিয়ে চেতনা জাগাতে তাকে কে আর খোঁজেন?


এবার সময় হলো, কবিদিন, পক্ষ বা মাস নয়, রুটিনে রবির হোক স্থান।
সঞ্চয়িতা আর গীতবিতানকে পেরিয়ে, মুখস্থ চেনা কলি আওড়ানো এড়িয়ে,
এসো  তাঁর চিন্তন সাগরে  ডুব দিয়ে খুঁজি রোজ কিছু মুক্তো মানিক,
কম্পাসহীন এই আধুনিক যুগে, চলো হে বাঙালী, রবীন্দ্র নামে লিখি নয়া সংবিধান।


ধূসর হতাশা নিয়ে মৃত হয়ে বাঁচি, সবুজের আহ্বানে তাঁর নামে এইবার উঠুক শ্লোগান।


আর্যতীর্থ