। নারায়ণী।


অর্জুনের কাছে শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং, আর দুর্যোধনের কাছে পরমকৃষ্ণভক্ত নারায়ণী সেনা...কেউ কি জেনেছিলো তাঁদের মনের অবস্থা?


আমরা তোমার নারায়ণী সেনা, প্রশ্ন বিনা নিখাদ বশংবদ,
বাতাস বয়ে আনছে বিসংবাদ, কুরুর দেশে যুদ্ধ বাধো বাধো,
আমরা শুনে অস্ত্রতে দেই শান, তৈরী অসি ভল্ল ধনুর্বাণ,
সুযোগ পেলে রণাঙ্গণে নেমে , দেবো প্রমাণ নানান চমকপ্রদ।


সৈন্য তোমার নিজের হাতে গড়া, তোমায় আমরা প্রভু বলে মানি,
ইচ্ছেগুলো ঢেলে তোমার পায়ে, শুধু আদেশ পালন করতে জানি,
একটি স্বপ্ন মনের ভেতর আঁকা, ঘুরবে যখন ধর্মরথের চাকা,
আমরা তখন তোমার চারিদিকে, সগর্জনে হবো শস্ত্রপাণি।


আজকে যখন বললে তুমি কেশব, কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধে যাবে কে কে,
বাজলো মনে সহস্র দুন্দুভি,  মত্তহাতি উঠলো বুকে ডেকে,
এই দিনটার ছিলাম অপেক্ষাতে, অস্ত্রশস্ত্র ঝলকানি দেয় হাতে,
আর কিছু নেই ইষ্ট থেকে চাওয়ার, তোমার সাথে যুদ্ধে যাওয়ার থেকে।


শুনে তোমার পরের আদেশ প্রভু , মনে হলো আজই প্রলয় হবে,
প্রভুর থেকে এমন কঠিন কথা, তিন ভুবনে কে শুনেছে কবে!
বিলম্ব নেই ধর্মরাজের জয়ের, রথ চালাবেন কৃষ্ণ ধনঞ্জয়ের,
বিনিময়ে প্রভুর শত্রু হয়ে, ঠাঁই আমাদের হয়েছে কৌরবে।


সাক্ষী থাকুক ভারত ইতিহাস, সাক্ষী থাকুক অস্ত্রাঘাতের ক্ষত,
একটি বাণও ধনুক ছাড়ার আগে, প্রভুর কৃপায় নিধন সুনিশ্চিত।
ভগবান আর পরম ভক্ত, যুযুধান দলে দ্বিধাবিভক্ত,
এমন ঘটনা দেখেনি কখনো অতীত, দেখবেনা কোনো অনাগত ভবিষ্যতও।


আর্যতীর্থ