। মায়োপিক।


বায়োপিকগুলো বড় মায়োপিক হয়ে যাচ্ছে আজকাল।
অন্ধকারকে ভালো করে মশলা দিয়ে মেখে টকঝাল
দিয়ে পরিবেশন করলেই লোকে টাকায় দশটা ফুচকার
মতো গপাগপ গিলছে; তিনদিনে একশো দুশো কোটি পার
করা কোনো ব্যাপারই নয়। ডায়ালগে লোকে হাততালি দিক,
যখন নামভূমিকার লোকটি গিনতি করুক সংখ্যায় ঠিক
কজন তেনার অঙ্কশায়িনী হয়েছিলো। রতন পঞ্চু বাপী
মনে মনে হিসেব করুক, গুরুকে ছুঁতে আর কটি নারী বাকি,
আর অভিনয়ে জীবন্ত হয়ে ওঠা নায়কটির ভিলেনি দেখে
পাড়ার মাসীমারা চোখের জল মুছতে মুছতে ওকে একে
বলুক, একটু বোকা তো, তাই গিয়েছিলো বেচারা ফেঁসে।
এই কথা চাপা পরে থাক, আইন দিয়েছিলো তাকে একপেশে
প্যারোল, বাকি সমদন্ডিত কয়েদী যখন নিরবচ্ছিন্ন বন্দী,
তখন কেমন ছিলো সে প্রধানত বাইরে নানান ফন্দী
ও ফিকিরে, সেকথা উহ্য রেখে বওয়া সমবেদনার ঝড়ে
যুক্তিবুদ্ধি উড়িয়ে দিতে কার না মনকেমন করে,
বলতে পারো? খারাপ চেপে গিয়ে ভালোটাই বলবে সঠিক,
সত্যি করে বলতে গেলে সেই আধাসেদ্ধ তথ্যই তো বায়োপিক,
তাই না?
ওদিকে করনজিতেরও বায়োপিক শুরু হলো বলে, খোকাএবং খুকু,
শুধুই তো দেহ দেখেছো, এইবার দেখে ফেলতে পারো বাকিটুকু,
বলা তো যায়না, বড় হয়ে তোমরা কে এনাদের মতন হবে!
অবশ্য বায়োপিক হতে হবে অনুকরণযোগ্য , একথা কবে
কে বলেছিলো! খুব কাছ থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে নাও,
দূরের থেকে যা দেখতে পাওনি, অথচ ভীষণ দেখতে চাও,
সে সবই তোমায় এইবার বিশদে দেখানো হবে। এসো হে পথিক,
যে পথ বারণ করেছেন বাপপিতামহ,সেই পথে নেবে বায়োপিক,
হাজার হোক, এগোচ্ছে দেশ ক্রমশ।


কোথাও অট্টহাসি হাসছেন রামানুজন, প্রফুল্ল রায় আর জগদীশ  বোসও...


আর্যতীর্থ