। মিউজিক্যাল চেয়ার।


খেলাটা খুব মজার আর জমজমাটি।
বাজনা বাজবে, সকলে গোল হয়ে ঘুরবে,
আর থামলেই হুড়মুড় দৌড়ে বসে পড়বে চেয়ারে।
যারা পারবে না , তারা বাদ যাবে,
এইভাবে ক্রমে ক্রমে কমে গিয়ে চেয়ারের সংখ্যাটা এক-য়ে গিয়ে আটকাবে।


সেই কবে থেকে খেলেই চলেছি আমরা।
দেশ জুড়ে মাইকে উদাত্ত কন্ঠে বেজেছে
‘ইয়ে দেশ হ্যায় বীর জওয়ানো কা’ ..
পঞ্চাশ পেরিয়ে ষাটের দশকে গিয়ে যেই বাজনা থামলো,
তখন ম্যাট্রিক পাশদের জন্য বরাদ্দ চেয়ারগুলো গেছে সরে,
স্নাতকেরা তাদের জায়গায় বসে পড়েছে হুড়মুড় করে।


‘হ্যায় প্রীত যাঁহা কি রিত তেরে’ বুকে গুনগুন করে,
ভারত কে রহেনেওয়ালা’রা পৌঁছলেন সত্তরের দশকে।
‘ জাঁ ভি দেঙ্গে তেরে লিয়ে’র সুরের রেশ থামলে
স্নাতকরা দেখলেন, তাদের আর চেয়ার নেই।
বাজনা চলে থেমে, চলে থেমে
যখন ‘ রঙ দে বাসন্তী’তে থিতু হলো,
ততক্ষণে স্নাতকোত্তরেরা হারিয়ে ফেলেছেন তাঁদের চেয়ারগুলো।’।


এর পরে আর গান নয়, যুদ্ধের দামামা দ্রিমি দ্রিমি বাজতে থাকে।
পড়শি দেশের সাথে ছায়াযুদ্ধ চলার ফাঁকে ফাঁকে,
অনন্তনাগ বা সোপিয়ান বা পুলওয়ামায় ভাইরা শহীদ হয়,
দামামা দুমদুম করে বলে ‘ বালাকোট , বালাকোট...’
চোখের জল মুছে আবার তাকাতেই দেখি,
ইঞ্জিনিয়ারের জন্য,
পি এইচ ডি’র জন্য,
আই টি ওস্তাদের জন্য
রাখা চেয়ারগুলো কে করে দিয়েছে উধাও!


  চেয়ার সরায় কারা ,সম্যক জানা আছে,
  চেয়ারবিহীন লোক লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দেয় তাও।


আর্যতীর্থ