। মশানের ইতিহাস।


দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনে কেমন,
মুষল বনছে মুঠোয়  তোলা ঘাস,
দেখতে পাচ্ছি অকারণ হিংস্রতা,
মারলে কেন, লাশেরা প্রশ্ন করে।


ঘাতকের চোখে লেগে আছে বিভ্রম
কেন যে মেরেছে , ভুলে গেছে তার যুক্তি,
তবু বারবার ঘাসের মুষল তুলে,
রক্ত ছিটিয়ে দিচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়


এককালে এরা সবাই যাদব ছিলো
ওই মৃতদেহ, ওই বেঁচে থাকা ঘৃণা,
বৃষ্ণি ভোজ আর অন্ধক হওয়া ভাগে
ভুলে গেছে ওরা একান্নবর্তী বাড়ি


ভুলে গেছে ওরা গাঁয়ে ছিলো মসজিদ
একটু এগোলে জাগ্রত কালীমাতা,
পুজো নামাজের বিরোধ ছিলো না কোনো
ভুলে গেছে ওরা বাস ছিলো পাশাপাশি


অবশ্য আজ এসব কে আর ভাবে
মাটি ভিজে আছে , ভিজে যায় রক্ততে
একটা বাঁচোয়া, বৃষ্ণি অথবা ভোজ,
তফাত এখনো করতে শেখেনি মাটি


কত অসহায় মরেছে ভুরিশ্রবা
সেসব প্রচার পেজ থেকে পেজ জুড়ে
কৃতবর্মার কিশোরহত্যা কথা,
ভিডিও হয়েছে যুদ্ধের ডাকসহ


অথচ কাউকে বলতে শুনিনি জানো,
দুজনেই ভুল, তবু ক্ষমা করি চলো,
অথচ কারোর খেয়ালই হয়না দেখো,
মুঠো খুলে দিলে মুষল আসলে ঘাস


সমুদ্র আজ ইতিহাস দেখে ফিরে,
আত্মঘাতক আত্মীয় সংহার,
মন্দির আর মসজিদি ঝগড়াতে
শুধু ভিড় বাড়ে শ্মশানে গোরস্তানে


দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনে কেমন
মুষল বনছে সামান্য কিছু ঘাস,
গোটা দেশজুড়ে ধর্মযুদ্ধ ভ্রমে
কপালে জুটছে মশানের ইতিহাস।


আর্যতীর্থ