। মেয়েটা।


আনমনা মেয়েটির কড়া পড়া হাতে ধরা খুন্তি কড়াই
ভোর থেকে রাত তক উনুনের সাথে তার সমুখ লড়াই
এই হাতে তুলি ছিলো, কলমে উঠতো জ্বলে শব্দআগুন
বিবাহের ফাঁসে পড়ে চুপচাপ সখগুলো হলো গুমখুন।
পুরোনো গঞ্জখানা অধুনা বদলে গিয়ে একবিংশ শহর
পোশাকে এসেছে শুধু,  মনে পৌছানো বাকি প্রগতি লহর
এখনো জাতের খোঁটা   টুক করে ঠুকে দেয় শিক্ষিত বাড়ি
কবিতা বা ছবি নয়, উনুন প্রমাণ করে মেয়েটা আনাড়ি।
চিলতে রান্নাঘর,  আরও সরু শিকদেওয়া জানলার ফাঁক,
তার মাঝে ঝুঁকে এসে অবুঝ শিউলি দেয় মেয়েটাকে ডাক
দুপুর আর বিকেলের রন্ধন অবসরে বাগানের ঠা ঠা
রোদ্দুরে
গাছেরা শুনতে পায় গুনগুন গান তার আগে শেখা সুরে
বিকেলে বাগানে এসে সেই মেয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখে ফুলগুলি,
চুপি চুপি ঝুঁকে পড়ে কতনা আদরে বলে সোহাগের বুলি
ফুলগুলি যেন হেসে মেয়েটাকে ভালোবেসে পাপড়িতে রং ঢালে আরো
ফুলেদের খুনসুটি বিকেল লুকিয়ে রাখে নজর না লাগে যেন কারো।
খুব ভোরে উঠে পড়ে বন্দী হওয়ার আগে মেয়েটা শিশির মাখে পায়ে
ভেজা ভেজা ফুলগুলো হালকা হাওয়ায় ভেসে ঢলে ঢলে পড়ে তার গায়ে।
তারপর  ফিরে গিয়ে চিলতে রান্নাঘরে উনুন জ্বালাতে
ছোটে রান্না কয়েদী
বাগানের কোণা থেকে চুপিচুপি ভালোবাসা চুপচাপ দেখে যায় তুলসীর বেদী....


আর্যতীর্থ