। লজ্জা।
গতকাল কবির জন্মদিন গেলো। আজও তাঁর সঠিক মূল্যায়ণ হলো না!


তোমার কবিতা বলতে বুঝি সঞ্চিতা
তার বাইরে খুঁজিও নি, মানছি তা।
বয়েস যখন চার পেরোলো সদ্য
তখন শেখা  কাঠবেড়ালির পদ্য।
খুকির কত চেষ্টা ছিলো সখ্যতার
পেয়ারা যদি একটু হতো ভক্ষ্য তার!
কাঠবেড়ালির বয়েই গেছে দিতে তাকে,
ছোট্ট মনও ফেলতো ধরে মজাটাকে।
দশ ছাড়িয়ে একটু যখন বড় হলাম
পদ্য বলে সঞ্চিতা এক প্রাইজ পেলাম।
তোমায় জানার চেষ্টা শুরু তখন থেকে
আগুনকথা পদ্য তোমার বলতো হেঁকে
কিশোরমনেও শিখার সে আঁচ লাগতো ঠিকই
পড়ার সময়, বলার সময়, জ্বলতো ধিকি
পরাধীনের মনের জ্বালা জানাতো তা
বুঝিও নি আরবি ফারসি অনেক কথা
তবুও তো লাইনগুলো গাঁথতো গভীর
শব্দ যেন বানভাসি  এক উথাল নদীর
অমন করে ঢেউ তুলে দেয় হৃদয়পুরে
কাজী, তোমার কাব্য কিশোর হৃদয় জুড়ে।
আকাশে তো তারা আরো আছেন কত
কেউ হল না বিদ্রোহী আর তোমার মতো।
আকাশ ঢাকা আলো নিয়ে আছেন রবি
সেই আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে আবছা সবই
তারই মাঝে কাজী তুমি স্বতন্ত্র যে
কান পাতলেই শুনি জাগার মন্ত্র হে
দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার
তোমার কথারা এখনো তো তারা প্রতিবাদী হাতিয়ার।
হে কবি,  শুধু সঞ্চিতাতেই চিনেছি তোমায়
এ লজ্জার ঘুণপোকা রোজ কুরে কুরে খায়।
রবির ছায়াতে রবির মায়াতে যদিও আছি
রবিতে জন্ম রবিতে জীবন রবিতে বাঁচি
তোমাকেও কবি নিয়েছি তেমনই আপন করে
মানছি এখনো উঠিনি তোমার সবটা পড়ে।
এবারে পড়বো, এ অঙ্গীকার দিলাম জন্মদিনে
পারো যদি তবে ক্ষমা করে দিও এই লজ্জাহীনে।


আর্যতীর্থ