। কবি ও পাঠক।


সব কবিতাই পাঠক খোঁজে, কবিরা নন নির্বিকার,
ভাল্লাগে না উঠলে বলে ‘ ধুর কত ড্যাশ ছিঁড়বি আর’
পাঠ করে কেউ বললে অমন,  ( যেসব শোনা খুবই কমন)
কবি ভাবেন , হে কাঁটাতার, পদ্য কত ঘিরবি আর!


পদ্য বোঝার লোক বরাবর সর্বযুগেই কম মেলে,
বেশীর ভাগের ফুরসৎ নেই বাস্তবিকেই দম ফেলে
পাঠ করে যা স্কুল কলেজে  জীবন চলে সে খই ভেজে
‘সা’তে গেছে আটকে যারা করে কি সরগম পেলে!


মুখের ওপর ‘ ধ্যাত্তেরিকা’ বলা বেদম মূর্খতা,
কাজেই তখন যুদ্ধে নামে আনাপসানাপ ঘুরকথা
কেউ বলে তোর ছন্দ কোথায়  কেউ হাঁকে তোর ঘাটতি কথায়
কেউ বলে এ ভাবনাখানা অমুক কবির ফুল চোথা।


ধিঙ্গী কিছু কবিও বাপু ন্যাকামিতে সাংঘাতিক,
কেউ যেন না বুঝতে পারে তেমন লেখাই তার বাতিক
কথার প্যাঁচে  গুলোয় এমন,    পদ্য পোড়ে চুলোয় যেমন,
অর্থ কি তার করলে তালাশ নাকাল হবেন সাংবাদিক।


মোটের ওপর পাঠক কবির মিলন হওয়াই দুর্ঘটনা
শ্রোতা ছাড়াই হেলায় হারায় ছন্দ মিলের সুর কত না।
সব কবিরাই পাঠক খোঁজে     বুঝবে যারা খুব সহজে
নিজের জন্য লেখেন কবি এসব জেনো জোর রটনা।


সক্কলে চায় পাঠক বলুক এখন কেউই ওর মতো না...


আর্যতীর্থ