। কিশোরী।


আঁসু মানে অশ্রুফোঁটা, মল মানে তো জানা,
নির্ঘাত কেউ ত্রিকালজ্ঞ দিয়েছেন নামখানা।
ব্রহ্মজ্ঞানের ঢাক পিটিয়ে জুটলো মেলা চেলা,
আবডালে হয়  ঢাকগুড়গুড় আদিম রিপুর খেলা।


আসুমলের মন ওঠে না কিশোরী না পেলে,
ব্রহ্মযোগীর আসঙ্গ আর সহজে কি মেলে?
জোগান আসে নাবালিকা তার গুরুকুল থেকে
ভক্তরা সব জয়জয়কার বাবার লীলা দেখে।


এমনি করে ফেঁপে ওঠে ধর্মের কারবারী,
নেতা এবং প্রশাসনও বশংবদ ভারী।
বাবার এমন কামের লীলায় ঘনালো দুর্যোগ,
নাবালিকা করেছে এক থানায় অভিযোগ।


বাকি সবাই বলছে বাপু, ভক্তিতে উত্তাল
মেয়ে শোনালো কেমন সে লোক আসলে জঞ্জাল।
ও বালিকা আমার দেশের, সেলাম করি তোকে,
আগামী তার স্বপ্ন আঁকুক তোর ও দৃঢ় চোখে।


বাকি খবর সবাই জানে, কোথায় আসুমল,
পাঁচ বছরে গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে গেছে জল।
আজব ব্যাপার, সাজা যেদিন পেলো বদের ধাড়ি,
পুলিশ ঘেরা ছিলো সেদিন ওই কিশোরীর বাড়ি।


ধর্ষক নয় , ধর্ষিতাদের এই দেশে বদনাম,
রক্তবীজের মতন বাড়ে হাজার আশারাম।
কিশোরী মা, এই বুড়োটা নাম জানেনা তোর,
আশায় বাঁচি , আনবি তোরাই নতুন দিনের ভোর।


আর্যতীর্থ