।কবিতা কোবিতা।


কবিতা না কোবিতা, এত কেন ভাবি তা,
কোনো এক কবিরই তো ভাবনার ছবি তা।
হতে পারে শব্দেরা চেনাপথে  যায় নি
পড়লে মগজ জুড়ে বিজলি নাচায় নি,
তাই বলে দিলে গালি, গোলোযোগ হয় খালি,
যেমন ঝগড়া করে জিয়ান আর নোবিতা,
বললে অকবি কেউ, সত্যি কি হবি তা?


কথারা চলতে পারে যেইদিকে ইচ্ছে,
কোবিতা হলোই বা সে, পাত্তা কে দিচ্ছে!
কে দিয়েছে দিব্যি সব কথা বুঝবেই,
পদ্য খুঁজছো কেন যার কোনো খুঁত নেই,
কিছু হবে ভুলভাল, কেটে যাবে সুর তাল,
সেটুকুনি মানবার থাকনা সদিচ্ছে,
রোজই তো নানাখাতে বেনোজল মিশছে।


কোনটা যে কবিতা, কোনটা কবিতা না,
নানা মুনি নানা মত, কত টালবাহানা।
নতুন যা কিছু দেখো হতে পারে জঞ্জাল,
অথবা এ আগামীর, বোঝেইনি সমকাল,
যুগের সূত্র ধরে, কথারা স্বপ্ন গড়ে,
কল্পনা খুঁজে ফেরে নতুনের ঠিকানা,
কিছু পৌঁছায় বটে, বাকি ভুল নিশানা।


কোবিতা বা কবিতার তফাত সামান্যই,
ফারাক যেটুকু হয় , পাঠকের জন্যই।
ব্যাকরণ মেনে কেউ দেখে ভুরু কুঁচকে,
কেউ শুধু মানে ভেবে হেসে দেয় মুচকে,
কেউ বলে আধুনিকে, জোর দিও বাঁধুনিকে
কেউ বলে মাফ করো, বোদ্ধা তেমন নই,
যদি কেউ পড়ে তবে জেনো কবি ধন্যই।


কবিতা না কোবিতা, কেন ভাবে কবি তা?
শব্দকে বলে দাও , যা ইচ্ছে হবি তা।


আর্যতীর্থ