। হ্যাপি হোলি।
সকাল থেকে বলছে সবাই , হ্যাপি হোলি, হ্যাপি হোলি,
হলাম নাহয় হ্যাপি বাবা, কিন্তু জেনো আজকে দোলই।
বাঙালীর এই এক আছে দোষ , যাহাই কলস তাহাই কুঁজো
গুলিয়ে ফেলে সেই হিসেবে দিওয়ালি আর শ্যামাপুজো।
সরকারীদের যায় আসে না, তাঁদের কাছে ছুটি দুটোই
( কাজের দিন তো কমতে কমতে আছে পড়ে দু এক মুঠোই)
শৈশব আর কৈশোরেরও তফাত করার বাধ্যতা নেই,
রঙ মাখাবার আজকে সুযোগ, ভূতগুলো সব খুশী তাতেই।
বোলপুরে আজ রঙের মেলা, ঋতুর রাজা জাগলো দ্বারে,
রাঙা পথে গুলালআবির, অশোক পলাশ নজর কাড়ে।
শহর ভাসে রবির গানে, ফ্ল্যাট ঘিরে হয় প্রভাতফেরি,
ফুল বিহনে রঙ দিয়ে আজ পুজো করা বসন্তেরই।
মাতাল লোকের কাছে এসব পাজি পাঁজির ষড়,
মদের দোকান খোলা কিনা বলো, আলোচনা তারপর।
প্রেমিকদেরও থোড়াই কেয়ার, জ্বাল দেওয়া কোন গাব তাতে,
রঙের ছুতোয় ফাগুন ছোঁওয়া, সেটাই নাচে ভাবনাতে।
পঞ্জিকারা ব্যস্ত থাকুক হোলিতে দোল পূর্ণিমায়,
আমার তোমার মনে যে আজ রঙের সোহাগ মুক্তি চায়।
দিনের খবর রাখুন যাদের মনে ভরা কুটকচালি,
এই ফাগুয়ায় রঙের নেশায় জোরসে বলো ‘ হ্যাপি হোলি!’
আর্যতীর্থ