।গুপ্তরোগ।
রাস্তা রে তুই আর যাই হোস, উড়ালপুলটি হোস নে,
হুড়মুড় করে ভেঙে যাবি কবে মন ভীত সেই প্রশ্নে।
আমরা বরং ভিড় ঠেলেঠুলে জ্যামের অধীনে থাকি,
তাড়াহুড়ো করে উড়ালেতে চড়ে কেন বা যমকে ডাকি।
নতুন পুরোনো কিংবা অজাত, দুম করে ভাঙে ধুপধাপ,
কটা দিন ধরে কাটাছেঁড়া হয়, তারপরে সব চুপচাপ।
মিশকালো পিচে কি আছে নিচে গুপ্তরোগের মতো,
ঝিকিমিকি আলো সেকাহিনীগুলো ঢেকে দেয় দৃশ্যত।
তিনখানা ব্রীজ ভেঙে গেলো তবু কারণে কুলুপ আঁটা
রাজনীতি মাপে লাশের হিসেবে ভোটের জোয়ার ভাঁটা।
সাঁইসাঁই গতি গাড়ি বাস মিনি কবে অধোগামী হবে,
ঠিকেদার সেই ইতিহাস লেখে কমিশনে পাওয়া জবে।
ব্রীজ ভাঙে হুড়মুড়, ঝড়ের আভাস নেই , শান্ত।
দোষারোপ হতে পারে প্রকৃতি আগেই কি জানতো?
লোহা ইঁট কংক্রিট ওই শোনো চিৎকারে বলছে
লোভাতুর মানুষের বাঁহাতের ধাক্কায় সব ব্রীজ টলছে।
কপাল আমার, এই শহরে দিনযাপনের দোষ নে,
ও রাস্তা থাক পায়ের নিচে, দোহাই উড়াল হোস নে।
আর্যতীর্থ