। ফুলচোর।

কথার পিঠে কথা জুড়ে নানান ভাবে  কথা বলা
কথার সুতো কথার ফুলে নানান রঙের কথার মালা
কয়েকটা তার ছন্দ পেয়ে সরস্বতীর পায়ে লুটোয়
কথা দিয়েই অঞ্জলি দিই পদ্য ভরে আমার মুঠোয়।
এইটুকুনই আছে আমার, টুকরি ভরা কথার ফুলে
কৃতার্থ হই কবিতারা বীণাপাণির চরণ ছুঁলে।
বঙ্গভাষার ফুলবাগানে আমি নেহাত তুচ্ছ মালি
দেবীর পুজোয় লাগবে বলে নিত্য সাজাই ফুলের ডালি
কোন কবিতা লাগবে পুজোয় সেটা আমার ভাগ্য জানে
আমি শুধু ফুলগুলোকে পৌঁছিয়ে দিই দেবীর থানে।
আমার মতো এই বাগানে হাজার হাজার মালি আছে
সবাই নিজের কথা সাজায় অর্ঘ্য দিতে দেবীর কাছে।
এই বাগানেই তক্কে থাকে ফুলের লোভে চোরের দল
গাছের গায়ে হাত না দিয়েও মালি হতে চায় কেবল।
ফুলের সাজি মালির থেকে দেবীর পায়ে যাবার আগে
তস্করেরা লোপাট করার চেষ্টা করে আগেভাগে
তারপরে সেই ফুলের গায়ে ছাপ্পা মেরে নিজের নামে
চালান করার চেষ্টা করে বিদ্যাদেবীর পূণ্যধামে।
মালি হবার প্রবল তাড়ায় আসল কথাই যায় ভুলে
বীণাপাণির হয় না পুজা অন্য মালির তোলা ফুলে।
হে বাগদেবী,  নিজের গুণে এদের তুমি কোরো ক্ষমা
বাঁকা পথে গেলে পরেও তবু সন্তান  তোমারই মা।
বরং তুমি আশিষ দিও পথভোলা এই বেচারাদের
মালি হবার স্বপ্নগুলো সত্যি করে দাও মা তাদের।

আর্যতীর্থ