। ধারণা।


ইদানিং নানাবিধ কবিতা লেখাতে, একটা ব্যাপার দেখি ঘুরেফিরে আসে,
পড়েলিখে কেউ যদি সাফল্য পেলো, বাপ মাকে আর নাকি দেখবে না সে।
কোথাও আটকে গেছে ভাবনা চাকা( হতে পারে হিট হওয়া সিনেমাপ্রভাবে)
ধরা হয়, সাফল্য কেউ ছুঁয়ে নিলে, সহমর্মিতাবোধ তখনই হারাবে।
লেখাপড়া জানা ছেলে বাপমা দেখেনা, এ কাহিনী সিরিয়ালে বেশি লোকে খায়  ,
বিত্তবানের যদি স্বার্থের কলংক না লাগে,গল্প তখন বড় জোলো হয়ে যায়।
ধরা যাক তর্কের খাতিরে, বাপ মা না দেখা ছেলে স্কুলেতেও পেত লাল কালি,
তাহলে কি পাল্টাতো কিছু? শ্রবণকুমার আর ঔরংজীবের মাঝে ফারাক কি লেখাপড়া খালি?
তাই যদি হতো, তবে কেন সব বাবা মা-ই, শিক্ষাতে জোর দেন এত?
মানুষ হওয়ার সাথে শিক্ষা বা সফলতা ব্যস্তানুপাতী নয় আজও অন্তত।
তেমনি জরুরী নয় গরীবিয়ানার সাথে মমতাকে জুড়ে দেওয়া হাইফেন দিয়ে,
ক্ষিদে কত নিষ্ঠুর হতে পারে, প্রতি যুগে দুর্ভিক্ষরা হাড়ে হাড়ে গিয়েছে শিখিয়ে।
তাহলে কিসের গুণে সন্তান ছাদ করে আজীবন রেখে দেয় তার বাবা মা'কে?
ভ্রুক্ষেপহীন স্বার্থপর অকৃতজ্ঞ সন্তানের বেড়ে ওঠায় কিসের অভাব থাকে?
এ ব্যাপারে গবেষণা করা যেতে পারে, হয়তো বা করছেনও কোনো তাত্ত্বিক,
হুটপাট বলে দিলে আনাপ শানাপ, আন্দাজী সেই ঢিল লাগবে না ঠিক।
তাই বলে, নেহাতই বিষাদমাখা গল্প বানাতে, সফলতাকে রুঢ় ভিলেন কোরো না,
বাবা মা কে প্রবাসীরা দূরে ঠেলে দেয়, প্রচলিত সে ধারণা আঁকড়ে ধোরো না।


আর্যতীর্থ