।  ডাক্তার ও রোগী।


তুমি বললে ফোনে শুনে রোগ বলতে পারবে কি সব?
আমি বললাম অসম্ভব।
তুমি বললে তবে?
আমি বললাম অমন করে ডাক্তার আর অসুখ ধরে কবে?
আমি শুধু বলতে পারি সম্ভাবনার কথা,
তুমি বললে তার জন্যই টেস্ট করো অযথা?
আমি বললাম অযথা নয়, যেভাবে শিখেছি,
সেইমতো লিখেছি।
তার আগে যে তোমার সাথে এত কথা হলো,
ভেবেছো সেগুলো?
তুমি বললে, বোঝাও।
আমি বললাম  আমি শুধুই শুনি,  তুমি বলে যাও।
বলো তোমার অসুবিধা, শুরু কবে থেকে,
এবার যদি তুমি সেসব বলো রেখেঢেকে,
তবে আমি কানা।
যেসব কথা কেউ শোনেনা, কাউকে বলা মানা,
ভরসা করে বলতে হবে সেসব আমাকে,
ওরই মাঝে যদি কোথাও রোগের উৎস থাকে,
খুঁজে পেতেও পারি।
মোটের ওপর,  সব বলা দরকারী।
ইনস্যুরেন্সে যে সব গেছো চেপে, রাত্রে যদি করো ঢুকুঢুকু,
বলতে হবে বেবাক  সবটুকু,
তবেই কিছু বুঝবো,
তা নইলে তো গোলোকধাঁধায় আঁধারে পথ খুঁজবো।
এসব শুনে যখন ছোঁবো দেহ,
সে তো কেবল মেটাতে সন্দেহ,
টেস্টও জেনো তাই,
তোমার বলা কথার ভিতে নির্ণয়ী ধরতাই।
তুমি বললে, মানে?
তুমি আমি মিলেই কি যাই সমস্যা সন্ধানে?
আমি বললাম ভালো,
এতক্ষণে আসল কথা মনেতে চমকালো।
তুমি আমি একই দলে, উল্টোদিকে রোগ,
প্রতিপক্ষ ভাবলে আমায় খামোখা দুর্ভোগ,
এবং সেটা দুজনারই।
এবার চলো, আমায় খুলে বলো ,
দেখি কেমন আমরা দুজন অসুখ ধরতে পারি।


আর্যতীর্থ