। চোখ।


চোখ করে ছোঁকছোঁক, চারদিকে দেখে,
জরিপ করতে থাকে নারী একে একে।
কোথায় কেমন ড্রেস , খোলা কতখানি
চোখ দিয়ে ঝরে তেল , চিনা বা জাপানী,
সাঁইসাঁই ছোটে ট্রেন, নারী ওঠে নামে,
বিঘ্ন ঘটেনা কোনো চোখের আরামে,
কোথায় কে বাড়িয়েছে লালাঝরা হাত,
চোখেরা দেখতে পেলে দারুণ বরাত,
অস্বস্তি যত , তত নোলা বেড়ে যায়,
চোখ সুখ করে নেয় অসহায়তায়,
গড়িয়া টু দমদম ভায়া কালীঘাট,
চোখেরা মেলতে থাকে রিপু পাখসাট..


একদিন কামরাতে প্রেমিক যুগল,
কি করে দেখে চোখ হলো গোলগোল।
ফিসফিস কয় কথা বুকে রেখে মাথা
দুনিয়ার সামনে প্রেম খোলা খাতা
সন্তর্পণে চোখ আবডালে চায়,
এমন তো নয় যে মেয়ে ফুঁসলায়?
ঝামেলা দেখলে চোখ গলাবে না নাক
শ্লীলতার হানি হলে তা চলতে থাক
যদি দেখে পথেঘাটে মলেস্টেশন,
চোখ বুজে পার হয় সেসব স্টেশন,
ভালো করে দেখে চোখ এইবার বোঝে
এদুজন দেহেমনে ভালোবাসা খোঁজে
চোখের দুঃখহাঁড়ি ভারী উথলালো
তারও তো এককালে যৌবন ছিলো
কখনো ছিলো না এত কাছে প্রেমিকা
দাউ দাউ জ্বলে ওঠে হিংসের শিখা
‘ এত কাছাকাছি কেন?’ চোখ ধমকায়
যুগল অনড় থাকে এক জায়গায়
এত বড় বেয়াদবি? চোখ ওঠে তেড়ে
বংশলতিকা থেকে গালি আনে পেড়ে
যুবক যুবতী খেপে প্রতিবাদে ফোঁসে,
কেন তারা গালি খাবে শুধু প্রেম দোষে?
অমনি চোখের দলে আসে চোখ আরো
জনতা হুংকার দেয় ‘দুটোকেই মারো!’
রাস্তায় রেপ হলে চোখ বুজে যায়,
চট করে পালাবার পথ খুঁজে যায়
এইটা তো রেপ নয়, স্রেফ ভালোবাসা,
মার দিয়ে বার করো তাবত হতাশা,
মেয়েটা জাপটে ধরে প্রেমিককে তার,
চারদিকে চিৎকার মার মার মার..


চোখ বাড়ি ফিরে গিয়ে দেখে আয়না,
মানুষ কোথাও নেই, শুধু হায়না..


আর্যতীর্থ