। চিরপ্রেমিক।


তোমায় আমার নতুন লাগে প্রতিদিনই।
যতই তুমি ভ্রুভঙ্গিমার অবিশ্বাসে তুচ্ছ করো আমায় রাণী,
চেনা শাড়ি কেমন করে ফুটিয়ে তোলে আনকোরা এক নতুন তুমি,
আমিই জানি।
হয়তো তুমি ভাবতে পারো, বয়েস তো আর কম হলোনা,
চুল কলপ আর অ্যান্টি এজিং এসব নিয়েই আলোচনা ঘুরেফিরে,
তবু তোমার এই প্রেমিকের আজও এমন কাঙালপনা,
কেমন করে?
সত্যি বলো, দেখছি তোমায় এত্তগুলো বছর ধরে,
তোমার চোখের কটাক্ষতে একলহমায় নজর করে বলতে পারি শান্তি কখন,
কখনই বা রোজনামচার উড়বে পাতা দমকা ঝড়ে,
নিত্যদিনের সেদ্ধভাতে প্রেম তো কবেই ওড়ার কথা বাষ্প হয়ে, কিন্তু সে আর কম হলো না,
গঙ্গা দিয়ে জল তো গেলো কতই বয়ে,
আজও আমার আনাপসানাপ পাগলামি যাও দিব্যি সয়ে।
যেমন করে রোজ সকালের সুয্যি ওঠা থমকে গিয়ে দেখে লোকে,
কালকেও তো উঠেছিলো সেটা ভেবে কম করে না আনন্দকে,
তেমনি করে নিত্য তুমি নতুন লাগো আমার চোখে।
তোমায় দেখি সকালবেলার দশভুজা,
কাজের লোক, স্কুল ও অফিস, জলখাবারও সামলে আঁচল কোমরগোঁজা,
তাড়াহুড়োয় সত্যি বাপু যায় না বোঝা কেমন করে সোজা দেখাও কাজগুলোকে।
তোমার আমার দৌড়ে চলা ঘড়ির সাথে,
ওই বড়জোর হাত ছুঁয়ে যায় একটু হাতে,
কিন্তু জানো,একজীবনের নির্ভরতার গল্প লেখা ওই ছোঁয়াতে।
  সারাটাদিন কথা বলার সময় কোথায় পাই আর বলো,
কাজের চাপে সব ধোঁয়াশা, ঘন্টামিনিট টলোমলো,
বোঝার আগেই হঠাৎ দেখি সন্ধ্যা হয়ে এলো,ঘরে ফেরার তাড়া,
ফিরতি পথের দিশাহারা মিনিটগুলোর শেষে,
সন্ধেতারা হয়ে যখন দরজা খোলো হেসে,
সহজ সরল ঘরপোশাকে তখন তোমায় দেখে, সত্যি বলছি, নতুন করে ফেলি ভালোবেসে।


আর্যতীর্থ