।ছুটি লুঠ।


এই যে কবি, ডিয়ার হাবি, কথায় হোঁচট, ছন্দে খাবি,
আর কিছু কি মাথায় থাকে, অবাক হয়ে সেটাই ভাবি,
যাকগে সেসব, আসছে পুজো ,রুটিন কেটে সময় খুঁজো
শনি রবি শপিং যাবে, এবার আমার এটাই দাবী।


এই খেয়েছে, রাই খেপেছে, শপিং যাওয়ার বাই চেপেছে
কোথায় কোথায় সেল দিয়েছে, কাগজ খুলে তাই মেপেছে
দোকান দোকান ঘুরতে হবে , বার্গেনিংয়ে পুড়তে হবে,
যেইটুকু সুখ ছুটির ছিলো, অবলীলায় রাই ঝেঁপেছে।


মনের কথা মনেই ঠাসি , ঠোঁটের ফাঁকে ঝোলাই হাসি,
বলি আহা, তোমার সাথে শপিং যেতে ভালোই বাসি
রেড কার্পেট বিছায় সবাই ( সুযোগ বুঝে করতে জবাই)
কিন্তু পুজোয় কিনবে কেন, কেনা তো হয় বারোমাসই।


মুখ ফসকে করলে এ ভুল , নিজের পায়েই মারা কুড়ুল,
ভাবগতিকে হচ্ছে মনে , রাই ওঠাবেন এবার ত্রিশূল।
সামলে নেবার চেষ্টা করি, বলি ওগো রাইকিশোরী,
বলতে চাইছি সারা বছর তোমার জন্য এ জান কবুল।


রাই বললেন ঢের হয়েছে, সুখ কপালে আর সয়েছে,
বর তেলালেই মতলবী তা , খনার বচন তাই কয়েছে।
ভুজুংভাজুং দাও না যতই, চলতে হবে এ আমার মতোই,
জানি তুমি বদের ধাড়ি,  পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান রয়েছে।


কপাল এমন পচা ধসা ,শনি রবি শনির দশা
এবার থেকে হবে শুরু রাইয়ের সাথে দোকান চষা।
বিদায় আমার ফ্রীজের বিয়ার, মারতে হবে উল্টো গিয়ার,
রবির দুপুর দেখবেনা আর আয়েস করে মাটন কষা।


মা দুর্গা, তোমার ওপর এই অভাগার দারুণ গোঁসা..


আর্যতীর্থ