। ব্যাপার বুঝুন।


ব্যাপারটা যে প্রবেশিকা বা হোস্টেল নিয়ে নয়
সেটা তামাম হোমরাচোমরারা বুঝলে ভালো হয়।
ভর্তি হওয়া ছাত্রের প্রবেশিকার দরকার নেই
অনন্তকাল ধরে ছাত্রজীবন চলছে ওই ভাঙা ঘরটাতেই।
মোট কথা, যে কারণে ছেলেমেয়েগুলো নিজেদের জীবনে ভাঙন ধরাচ্ছে,
তাতে না ওদের কিছু যাচ্ছে আসছে, না ওরা কোনো সোনার মেডেল পাচ্ছে,
এমনকি নিয়ম বদল হলে, তার কৃতিত্বের ভাগীদার হবে অন্য কেউ।
তাহলে কেন এই অনশনে উত্তাল সুনামির মতো ঢেউ,
তলিয়ে ভাবুন একটু কেষ্টুবিষ্টুরা। ওরা বসে নেই কোনো বিরোধী রাজনীতির চর সেজে,
ঋজু শিরদাঁড়ায় উপোসী ছেলেমেয়েগুলো ওদের মায়ের জন্য লড়ছে যে!
যাদবপুরের মান খারাপে ওদের মনখারাপ হবে, কিন্তু আপনাদেরই মুখ পুড়তো,
হোস্টেল ভেঙে পড়ে কেউ আহত বা নিহত হলে, আপনাদের দিকেই ইঁটপাটকেল উড়তো।
একটু বুঝুন হে ভাগ্যনিয়ন্তা রাজা ও উজিররা, এরা আপনার কাজগুলোই করে দিচ্ছে,
ইগোকে গিলে ফেলে রঙের চশমা সরিয়ে সত্যিটি দেখবেন কিনা, সেটা অবশ্য  আপনার ইচ্ছে।
শুধু এটা বলতে পারি, মায়ের জন্য লড়া সন্তান আমৃত্যু করে না আপোষ,
সহজ সরল এই তথ্য মনে না রাখলে, বোঝেনই তো ইতিহাস কাকে দেবে দোষ।


আগামী প্রজন্মের কাছে এটাই দাবী, জীবনে অন্তত একবার যাদবপুর সি এম সি হোস...


আর্যতীর্থ