। ভারী মুশকিল।


কবিতা লিখতে যাওয়া ভারী মুশকিল।
কেউ এসে ভাষা দেখে , কেউ দেখে মিল।
কেউ বলে এসো দেখি গভীরতা মেপে,
মাত্রাতে ভুল হলে কেউ যায় খেপে
কারো মতে নড়বড়ে কবিতার ভিত,
কেউ বলে ঠিক নেই শব্দচরিত,
কেউ বলে ধ্যাত্তেরি, কিছু নেই মানে,
কেউ বলে গদ্য এ, কবিতার ভানে।
কেউ বলে এক শুধু লিখেছেন রবি
তাঁর পরে যা কিছু , জঞ্জাল সবই,
কেউ বলে আরে রামো,ওসব প্রাচীণ
বাংলা ভাষায় আজ পাল্টেছে দিন।
জীবনানন্দের থেকে  যুগ  আধুনিক
সেইভাবে লিখে গেলে তবেই সঠিক।
কারো মতে পদ্যরা এগিয়েছে আরো
এখন লিখতে গেলে মিলটিল ছাড়ো,
কবিতার আছে আজ বাকস্বাধীনতা,
গুঁজে দিতে পারা যায় অশালীন কথা।
তাই শুনে কানে তুলো গোঁজে কিছু লোকে
চিৎকার করে ' ওই বেনোজল ঢোকেএএএ'
কিছু লোকে বলে তাতে গোলমাল কিসে,
কবিতারা নীলকণ্ঠ সামাজিক বিষে,
সমাজ যেদিকে যাবে সেদিকে কবিতা,
এখন প্রেমের লেখা শব্দদ্রোহীতা।
কেউ বলে বাপু কথা বাড়াসনে অত,
কবিতারা সত্যের মতো শাশ্বত।
যে কবিতা ছন্দের পথে দিশেহারা
বড় কুৎসিৎ হয় তাদের চেহারা।
শুনে লাফ দিয়ে ওঠে কেউ প্রতিবাদে ,
শব্দকে ছন্দরা অকারণ বাঁধে,
সঠিক কবিতা যাবে সীমানা ছাড়িয়ে
বাঁধা নিয়মের রীতি শব্দে মাড়িয়ে।
দেখেশুনে কবিতার এত প্রাজ্ঞকে
সর্ষের ফুল আজ কবি দেখে চোখে।
বেচারারা যেই কিছু লেখে শব্দকে,
কেউ এসে কড়া করে ঠিক যাবে বকে,
মৌচাকে যেন কেউ ছুড়েছেন ঢিল
কবিতা লিখতে যাওয়া ভারী মুশকিল।


আর্যতীর্থ