। আয়ু।


এই যে কিছু বাড়তি আয়ু . বাড়ছে ক্রমে বাঁচার খাঁচা
সবুজ তো নয়, ঘোর সফেদেও উচ্চে তুলে পুচ্ছ নাচা,
ভাবতে হবে বাড়ছে কি যে, শতাংশে কার দখলদারি
বুড়োবয়েস বাড়লে শুধু, বয়েই গেছে বাঁচতে ভারী।


বয়েস টেনে লম্বা করে কি লাভ হলো ও বিজ্ঞানী,
জরার প্রকোপ বাড়লো কেবল, যৌবন সেই একটুখানি।
গুচ্ছখানেক ওষুধ খেয়ে, টানছে  লোকে ল্যাজটা ধরে
বৃদ্ধবয়েস বর্ধিত হয়, লম্বা আয়ুর মাথায় চড়ে।


যৌবন বা মধ্যবয়েস বাড়ালে কেউ তবেই বাঁচি
ছানি চোখে যায় না খেলা দিনযাপনের কানামাছি।
শরীর যদি কাঁপতে থেকে ,ডিমেনশিয়ায় মগজ খেলো
সংখ্যা বাড়া  জন্মদিনে তখন কারো লাভ কি বলো?


শৈশব তো এমনি গেছে , হুজুগ হাওয়ায় যুগের ভোগে,
পিঠের ব্যাগের বোঝায় কাবু, ভুগছে শিশু বড়’র রোগে।
নানান হাতের প্রবল কিলে, জন্ম থেকে কাঁঠাল পাকে,
ছেলেবেলার মুহূর্তদের চলছে নিলাম চওড়া হাঁকে।


যৌবন আর বাড়লো কোথায়, অতীতকালের মতোই স্থাণু
খাপছাড়া সব ইচ্ছেগুলো, কাজের চাপে নতজানু।
মধ্যবয়েস বাড়িয়ে দেবে, হরেক কিসিম পণ্য দেখি,
বিজ্ঞাপণে ভরসা করে, মিথ্যে আঁচে আশা সেঁকি।


রইলো পড়ে বুড়োবয়েস, নানান প্রকার ওষুধ ঘেঁটে,
ধুঁকতে ধুকতে বাঁচতে চাওয়া, সরবিট্রেট বুকপকেটে।
ও বিজ্ঞানী, এমন ভাবে বাড়লে আয়ু লাভটা কিসে,
ক্যালেন্ডারের পাতায় যদি, ঋজু যাপন না যায় মিশে?


সক্ষম না থাকলে তবে, তফাত কি গো ওষুধ বিষে...?


আর্যতীর্থ