। আসছো নাকি।


ভালো উপন্যাস  পেলে যেমন গোগ্রাসে গিলে ফেলে লোকে ,
কবিতা গেলেনা কেউ তেমন করে । মনে ঢেউ ওঠানো কবিতা ,
চুপিচুপি , নিঃসাড়ে ঢুকে যায় বুকের ভেতরে , দমকা হাওয়ার মতো । নানারং , নানা রূপ ধরে , কবিতারা  খেলেধুলে প্রাঙ্গন জুড়ে , দামাল ,নিয়মভোলা , নিজের আনন্দে , এক অনন্যা পৃথিবীর রূপ রস  গন্ধে , নেশাতুর করে যায় ছন্দে অছন্দে ।
এ নেশায় যে মেতেছে সেই জানে শুধু , কি ভাবে শব্দ থেকে টুপটুপ মধু  ঝরে পড়ে , কথারা কিভাবে ভাঙে ব্যারিকেড সব ,
নীরব বুকের ক্ষেতে হোক কলরব কিভাবে জন্ম নেয় কবিতাকে ছুঁয়ে ।কথারা কেমন ভাবে দিতে পারে  ধুয়ে একযুগ ধরে মনে জমে থাকা ধুলো , দপ করে জ্বলে ওঠে নেভা বাতিগুলো , এসবের খুঁটিনাটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লেখা কবিতায় ,
শব্দ বদলে যায় হাতআয়নায়। হে ব্যস্তবাগীশ, নিশিদিন গিলে চলো স্থাবরের বিষ, কখনো সময় করে কিছুটা জীবন রেখো কবিতার ভাগে, তোমাকে অমৃত দিতে শব্দরা আজও
রাত  জাগে , কোনো কবির কলমে । তারা আছে অপেক্ষায় , কবে তুমি ধর্ম ও রাজনীতি চুলোচুলি ছেড়ে কিঞ্চিৎ পার হবে লক্ষণরেখা , কবে তুমি সময় কাটাবে কিছু স্রেফ একা একা ,
কবিতারা দিন গুনে যায় । এই আকালের দিনে, কিছুটা ব্যত্যয় হোক শুকনো রুটিনে, জড়ো করা কিছু পল কবিতামন্থিত হয়ে হোক শাশ্বত , তোমার জন্য আছে শব্দমদিরা  রাখা , আকণ্ঠ বুঁদ হতে তুমি আসছো তো?


আর্যতীর্থ