।অন্ধ।


চাঁদ ডুবে গেলে তবু রাত জুড়ে পড়ে থাকে জ্যোৎস্নার অবশেষ।
চাঁদহীন অমা রাতে, তখনো আকাশে থাকে আলোর প্রহরী,
অগণিত তারা জ্বলে নামে ও বেনামে। সবটুকু আলো শুষে নিকষ আঁধারে ঢেকে দেবে পৃথিবীকে,কোনো মেঘ অত গাঢ় হয় না কখনো। তবুও আমরা যুগে যুগে, বংশ অনুক্রমে ভুগি আলোহীন রোগে , জেগে চোখ বুজে রেখে ভেবে নিই আশপাশ
বড় অন্ধকার, আলো নিভে গেছে নাকি বহুকাল আগে, জ্বলবেনা কখনো আবার। আমাদের ইচ্ছুক অন্ধত্ব টের পেয়ে
বের হয় আঁধারের প্রাণী, গোপন বিবর থেকে । আমাদের
চোখ বোজা প্রতি নিঃশ্বাসে, সরীসৃপের পুতিগন্ধ নাকে ঢুকে আসে, কানে আসে আঁধারের নামে, কাছেই কারা যেন দিচ্ছে প্রবল জয়ধ্বনি , হিংসারা জেগে আছে স্লোগানের স্বরে। স্বভাবত,আমাদের বড় ভয় করে, জন্মান্ধের মতো পথের হদিস খুঁজি কারো হাত ধরে। অথচ কার সে হাত, কোথায় সে নিয়ে যাবে প্রশ্ন করিনা,  অজ্ঞাত সে কথাও, যার ওপর দেওয়া আছে যষ্টির ভার, আদতে সে আমাদের চেয়েও অন্ধ কিনা!
আসলে আঁধার নেই, যেটা আছে সেটা হলো আঁধারের ভয়, দুচোখ সাপটে বুজে, আমরা চলেছি ভেবে এ আঁধার কাটবার নয়।


আর্যতীর্থ