। আঁধারের রঙ।


জানো কি আঁধার কখন হয় সবচেয়ে গাঢ়?
কালো আরও ঘন হয়ে আসে চারপাশে,
তারারা নিভতে থাকে, সাঙ্গ ইঁদুর ধরা শেষ প্যাঁচাটারও,
ভয় ঢোকে ফুসফুসে প্রতি নিঃশ্বাসে।
ছেঁড়া ছেঁড়া ঘুম হওয়া অশান্ত চোখ চেয়ে দেখে
দৃষ্টি ঢেকেছে এক নিঃসীম ভয়াল চাদরে
আঁধার শত্রু তার, বহুবার শিখেছে সে ঠেকে,
স্বভাবত, অপারগ অন্ধত্বে বড় ভয় করে।
নেভানো বিজলিবাতি হাতের কাছেই আছে জানে
আঁধার তবুও ছেয়ে দিশেহারা করে দেয় তাকে
অসাড় বিচারে তাই যায় না সে আলোসন্ধানে,
অনন্ত অন্ধকার না কাটার ভয়, তার মনে বড় হতে থাকে।
সে শুধু আটকে থাকে জীবনের নানাবিধ কালো ভাবনাতে
জমাট ব্যর্থতাগুলো কালো পর্দার মতো ঝোলে,
আলোহীন পৃথিবীতে অন্ধের মতো হবে পথ হাতড়াতে,
সে ধারণা ক্রমে ক্রমে টেনে নিতে থাকে তাকে আরো হতাশার
ব্ল্যাক হোলে।
হঠাৎ.. জানলা বেয়ে নেমে আসে চিলতে আলোর এক রেখা
আঁধারের ভ্রম ভেঙে স্পষ্টত ফিরে আসে চেনা পৃথিবী,
আলো, আরো আলো এসে তছনছ করে দেয় কালো যবনিকা,
ভয়েদের টুঁটি ধরে মাস্তানি করে বলে কোথায় পালাবি?


জানো কি কখন হয় অন্ধকারের রং সবচেয়ে গাঢ়?
কখন আঁধার দেখে সবচেয়ে বেশী ভয় লাগে?
বোকা লোকেদের মতো সেসময় হাল কেন ছাড়ো,
আঁধার নিবিড়তম ঘন হয়ে ঘিরে ধরে সুর্যোদয়ের ঠিক আগে।


আর্যতীর্থ