। অ-রূপ।


হ্যাঁ বললে গয়না গড়াবো, না বললে অ্যাসিডে পোড়াবো,
সেই শরীরী মানদন্ডকে এখনও কেউ প্রেম বলে ডাকে
ছেলে হলে পয়মন্ত আর মেয়ে হলে সেই শাপশাপান্ত.....
যুগ পাল্টাক, আঁধার তবুও গাঢ়তর হতে থাকে।


এ ভারত নয় , বিশ্বের দোষ, নারী মানে শুধু আপোষ-পাপোষ
আয়ার্ল্যান্ড বা আমেরিকা হলে ফারাক নেই বিশেষ,
কঙ্গো অথবা মেক্সিকো হোক, জরায়ু ও রূপ নারীর জ্ঞাপক,
সুমেরুর থেকে কুমেরু অবধি সব পুরুষের দেশ।


পেটের ভিতরে যতটুকু আয়ু, সমঅধিকার দেয় তো জরায়ু,
পুত্র ও কন্যাকে পৃথক ভাবেনা কোনো মায়ের শরীর,
বিপরীতে চলে বাইরে  বিশ্ব , মেধা গুণ নয়, রূপই দৃশ্য
শিক্ষা বা পেশা সবকিছু থেকে বেশি মান ফুলপরীর।


যতটা বায়না শুনেছে আয়না  মগজ ততটা পাত্তা পায়না
রূপ লাগি সব আঁখি ঝুরে যায় গুণের বেলাতে শূন্য,
সামাজিক আর ধর্ম আচারে, পুংদুনিয়ায় নারীর বাঁচা রে,
পুরুষের মতে ঠিক হয়ে যায় নারীর পাপ বা পূণ্য।


রূপ সবচেয়ে বড় শত্তুর ধ্রুবতারা আজও রাজপুত্তুর,
শরীর পেরিয়ে মেধা বা মননে নারীকে দেখে কি কেউ
অ্যাসিড ছোঁড়া সে পশুটাও জানে সমাজ নারীকে রাখে কোনখানে,
চামড়া ও চুল ছাড়া বাকি নারী হিসেবেই নেই যে আদৌ।


সুনামির মতো এসে দুনিয়া ভাসিয়ে দিক রূপহীন ঢেউ..


আর্যতীর্থ