। অনন্তকাল।


অনন্তকাল থাকবো না যে সে সত্য কি গোপন নাকি?
কাজের চাপে  রোজ দুবেলা চোখ চেপে দিই মুহূর্তদের,
ওদিক পানে তাকাস নে লো, শ্যামের বাঁশি  ঘর  পোড়াবে,
অনেক আছে হাতে সময় প্রবোধ দিয়ে আটকে রাখি।


মুহূর্তদের ইচ্ছে করে নিটোল কিছু স্বপ্ন আনে হাতের কাছে
দেখতে যাবে পুন্যিমে রাত,  জোছনা পড়ে পাহাড় জুড়ে রুপোর পরত,
ভোরের বেলা ওঠার আগে সু্য্যি কেমন স্নান সেরে নেয় সমুদ্দুরে,
বুঝিয়ে বলি এসব নিয়ে তাড়াহুড়ো অদরকারী, হাতে প্রচুর সময় আছে।


ছটফটানো মন কি মানে সেসব কথা, যেসব বসে বানাই নানা অছিলাতে?
উড়ুক্কু সে ভাসতে থাকে, দেখতে যাবে গহীন বনে চিতাবাঘের হরিণ শিকার,
দেখতে যাবে সময় কেমন হার মেনেছে,ভীমবেঠকার প্রাচীণ গুহায়,
আমি বলি রোসো বোসো, কাজ সেরে নিই, সময় অনেক আছে হাতে।


এমনি করেই নোটের লোভে রোজ চেপে দিই মুহূর্তদের উড়তে চাওয়া,
বাইরে কেন, পাইনা সময় ছাতে যেতে, পড়ন্ত রোদ লোভ দেখালেও,
সুখ মাখি যে নোটের থোকায় তারাই আমায় এমন ধোঁকায় গেছে রেখে,
ভাবছি আমি এখন কেন, ওড়ার জন্য অনন্তকাল যাবে পাওয়া।


আর্যতীর্থ