। অকারণ রাগ।
নববর্ষের কদিন বাকি আমার তিনি গেছেন খেপে
সোহাগকথা বললে পরে উত্তর দেন নিক্তি মেপে।
দুদিন আগে মলে গিয়ে নামী শাড়ির দোকান থেকে
নিলাম কিনে তিনটে শাড়ি রং ও কাজের বাহার দেখে।
ভেবেছিলাম শাড়ি দেখে দেখবো মুখে আভাস হাসির
রকম দেখে হচ্ছে মনে জজ দিয়েছেন হুকুম ফাঁসির।
'দর্জিরা সব ব্যস্ত এখন নানান কাজে অহর্নিশ
কোণের দিকে থাকবে পড়ে এখন দিলে ব্লাউজপিস।
ঘটে তোমার বুদ্ধিটি নেই শাড়ি কি কেউ এমনি পরে?
এটুকসময় ফল পিকোটা করবো কোথায় সময় করে?
তাড়াহুড়ায় কিনে শাড়ি কোনক্রমে দিয়েই খালাস
ম্যাচিং করা অ্যাক্সেসারি,  করবে কে তার তত্ত্বতালাশ?
দেখেও একটু শিখতে পারো পাশের বাড়ির দাসবাবুকে
দুমাস আগে বৌএর শাড়ি কেনাকাটাগেছে চুকে।
অবশ্য ওই দাসগিন্নি বর পেয়েছেন ভাগ্য করে
অফিস যাওয়ার সময় রোজই হামিটি খান জাপটে ধরে।
এমন বরটি যে পেয়েছে, ছিঁড়েছে তার ভাগ্যে শিকে
আমার কপাল, সঙ্গী পেলাম তোমার মত বেরসিকে!'
আমতা করে বলতে গেলাম, তখন যেটা এলো মাথায়
আমার অমন যুক্তি শুনে গিন্নি মাথায় রক্ত ওঠায়।
এখনো তো ছাই বুঝিনি ওনার এমন কারণ রাগার
পাঠক শুনে বিচার করুন কেন আমি দেই গুনাগার।
আমি শুধু বলেছিলাম প্রেমের নতুন অনুভবে
' আমি নাহয় রাজী আছি, দাসগিন্নি রাজী হবে?'
আর্যতীর্থ